নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার মূলহোতাদের মধ্যে এতদিন তামিম চৌধুরী, মেজর জিয়া, মারজানকে শনাক্তের কথা বলেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এবার উঠে এল রাজীব গান্ধী ওরফে প্রভাষের নাম।
আজ সোমবার গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় জড়িত রাজীব গান্ধী ওরফে প্রভাষের নাম জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজীব গান্ধী দুই হামলার ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী।
তিনি বলেন, রাজীবসহ গুলশান হামলার অপারেশনাল কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজান ও আরেক জঙ্গি বাশারুজ্জামান দেশের মধ্যেই আত্মগোপন করে আছে। তথ্য আছে, হামলার পর খালিদ ও রিপন নামের দুই জঙ্গি ভারতে পালিয়েছে।
কে এই রাজীব গান্ধী?
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, তার কয়েকটি নাম পাওয়া গেছে। সেগুলো হচ্ছে রাজীব, প্রভাষ, সুবাশ গান্ধী ও গান্ধী।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, তিনি উত্তরাঞ্চলের জঙ্গি কমান্ডার হিসেবে কাজ করতেন। গুলশান এবং শোলাকিয়ায় হামলার জন্য অভিজ্ঞ জঙ্গির প্রয়োজন ছিল। রাজীব গান্ধী গুলশানের জন্য দুজন ও শোলাকিয়ার জন্য একজন জঙ্গি সংগ্রহ করেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাজীব গান্ধী দেশের ভেতরেই রয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোথাও সে আত্মগোপনে থাকতে পারে।
রাজীবের সাংগঠনিক নাম পেলেও তার প্রকৃত নাম-পরিচয় পায়নি গোয়েন্দারা।
মনিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি পুলিশের যে অভিযান হয়েছে, তাতে জঙ্গিদের ৬০ শতাংশ শক্তিক্ষয় হয়েছে। মারজান, বাশারুজ্জামান ও রাজীব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপন করেছে। যেকোনো সময় তারা আবার সংঘবদ্ধ হতে পারে।
তিনি জানান, এসব হামলার জন্য অর্থ ও অস্ত্র এসেছে বিদেশ থেকে। হুন্ডিতে এসেছে অর্থ। আর অস্ত্র এসেছে ভারত হয়ে। এ দুই হামলার আগে হুন্ডির মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা গ্রহণ করে জঙ্গিরা। এসব অর্থ ও অস্ত্র কারা প্রেরণ ও গ্রহণ করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৯ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম