প্রভাষ আমিন : হুট করে নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দেওয়ায় আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম। আর তারা যখন কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সফর স্থগিত করল, তখন ক্ষুব্ধ হয়েছি।
অস্ট্রেলিয়ার শঙ্কা, তাদের খেলোয়াড়দের ওপর জঙ্গি হামলা হতে পারে। বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল হাওয়ায় উড়ছে। ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা সব এখন আমাদের কাছে নস্যি। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা যখন অস্ট্রেলিয়াকে বাগে পাওয়ার দিন গুনছে, তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাত। এবারের সম্ভাবনাটা আরও একটু বেশি ছিল, কারণ মাত্রই অ্যাশেজে বিধ্বস্ত হয়ে আসা অস্ট্রেলিয়ার পুরনো খেলোয়াড়দের অনেকেই অবসর নিয়েছেন। তাই তাদের একটা নতুন দল নিয়ে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের ভিভিআইপি নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রয়োজনে তাদের চাহিদামতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কিন্তু পুরো বিষয়টি হঠাৎ করেই ঘোলাটে হয়ে যায়, বারিধারায় ডিপ্লোম্যাটিক জোনে ইতালীয় নাগরিক সিজার তাভেলা হত্যার ঘটনায়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি পশ্চিমা রাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে সতর্ক করেছে। হঠাৎ করেই অস্থির পুরো পরিস্থিতি। কিন্তু কেন এমন হলো? এ প্রশ্নের কোনো সহজ জবাব অন্তত আমার কাছে নেই। দৃশ্যত বাংলাদেশ এখন শান্ত, স্থিতিশীল।
জঙ্গি তৎপরতা তো দূরের কথা, রাজনৈতিক অস্থিরতাও নেই। কী এমন হলো যে হঠাৎ পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্র হয়ে গেল? কারা বাংলাদেশের কপালে এই কলঙ্ক তিলক এঁকে দেওয়ার চেষ্টা করছে? আমরা জানি না পর্দার পেছনে কারা কলকাঠি নাড়ছে। অস্ট্রেলিয়া সফর পিছিয়েছে শুনে আরও অনেকের মতো আমিও মজা করে ফেসবুকে লিখেছিলাম, অস্ট্রেলিয়া কাল্পনিক সন্ত্রাসীদের নয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভয় পেয়েছে। পরাজয়ের ভয়েই তারা বাংলাদেশে আসছে না। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে ফান করার নয়।
ব্যাপারটা অনেক বেশি সিরিয়াস। শন ক্যারল ফিরে যাওয়ার পরই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের ক্যাম্প ভেঙে দিয়ে খেলোয়াড়দের রাজ্য দলে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার মানে বাংলাদেশের আশ্বাসে মন গলেনি তার। গলবেই বা কীভাবে? ক্যারল যখন বাংলাদেশে, তখনই যে খুন হয়ে গেলেন ইতালীয় নাগরিক তাভেলা। ক্যারল কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখের আশ্বাস বিশ্বাস করবেন, নাকি সন্ত্রাসীদের মাঠের অ্যাকশন দেখবেন। সাদা চোখে দেখলে একে কাকতালীয়ই মনে হবে। ইতালীয় নাগরিক হত্যাকে মনে হবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমারও তাই মনে হচ্ছে।
কিন্তু মাঝে মাঝে শঙ্কা জাগে মনে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় কোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে না তো! নইলে অস্ট্রেলিয়ার সফর পিছিয়ে দেওয়া, ইতালীয় নাগরিক খুন, যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র-ইতালি-কানাডার ট্রাভেল অ্যালার্ট; এত কাকতালীয় ঘটনা একসঙ্গে ঘটে কীভাবে? তাভেলা হত্যার ধাক্কা না কাটতেই রংপুরে একই কায়দায় খুন হলেন জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও। ইতালীয় নাগরিক হত্যার দায় স্বীকার করে আইএস বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো থেকে। আবার জাপানি নাগরিক হত্যার পরও টুইট করে আইএস এর দায় স্বীকার করেছে।
এর আগে যেখানে বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্বই ছিল না, হুট করে পরপর দুটি হত্যাকাণ্ড এবং আইএসের দায় স্বীকার অবশ্যই রহস্যজনক। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশে আইএসের তৎপরতা গড়ে ওঠেনি। এমনকি ইতালি সরকারও বিশ্বাস করে তাভেলা হত্যাকাণ্ড আইএসের কাজ নয়। কিন্তু দৃশ্যত এখন তাভেলা ও কোনিও হত্যাকাণ্ডকে সামনে রেখেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যখন দেশে দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখন দুই বিদেশি হত্যার ঘটনা অবশ্যই সন্দেহজনক।
প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে জঙ্গি আছে কি নেই? হ্যাঁ এবং না, এই প্রশ্নের দুটি উত্তরই অসত্য। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা আছে, তবে তা কোনো ক্রিকেট সফর বাতিল করে দেওয়া বা ট্রাভেল অ্যালার্ট জারি করার মতো নয়। বাংলাদেশের জঙ্গি তৎপরতার ইতিহাস অনেক পুরনো। তবে তারা প্রথম নিজেদের শক্তি জানান দিয়েছিল ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে।
একই সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রীতিমতো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে বাংলাদেশে। বাংলাভাই যখন প্রকাশ্যে দাবড়ে বেড়াচ্ছে, তখনো জোট সরকারের মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী বলেছিলেন, বাংলাভাই মিডিয়ার সৃষ্টি। এভাবে দেখেও না দেখার ভান করে সরকার জঙ্গিদের বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছে। এর আগে এই জঙ্গিদের সহায়তায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার যখন ভুল বুঝতে পারল, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ফ্রাঙ্কেনস্টাইন বাংলাভাইদের শিকড় তখন অনেক গভীরে। বাংলাভাই আর শায়খ আবদুর রহমানদের ফাঁসি দেওয়া গেলেও তাদের অনুসারীরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে দেশজুড়ে। তবে এটা ঠিক আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিবিরোধী সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে। বিশেষ করে র্যাব অধিকাংশ জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার দাবি করে। র্যাবের এই দাবি অনেকাংশেই সত্য। কারণ সাধারণভাবে দেশে কোনো জঙ্গি তৎপরতা দৃশ্যমান নয়।
জঙ্গিদের ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স হলেও দেশে জঙ্গিরা জিরো হয়ে গেছে, এমনটা নয়। বরং কিছু কিছু সাম্প্রদায়িক সংগঠনের আড়ালে বেড়ে উঠছে জঙ্গিরা। হয়তো তারা আড়ালে শক্তি সঞ্চয় করছে। হয়তো সময়মতো আঘাত হানবে। কিন্তু ব্যাপারটা তো এমন নয়, জঙ্গিরা শক্তি সঞ্চয় করবে আর সরকার বসে বসে আঙ্গুল চুষবে। সরকারও নিশ্চয়ই বারবার আঘাত হেনে তাদের দুর্বল করবে।
তাই হঠাৎ করে বাংলাদেশে জঙ্গিরা পশ্চিমা স্বার্থের ওপর আঘাত হানবে, এমন আশঙ্কা শুধু অমূলকই নয়, অপমানজনকও বটে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়া নিছক আশঙ্কা থেকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ সম্পর্কে এত বড় অভিযোগ তোলা যায় না, তোলা উচিত নয়। অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা সব কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি জঙ্গি হুমকি আছে পশ্চিমা অনেক দেশে। এমনকি অস্ট্রেলিয়া থেকে অনেকে আইএসে যোগ দিয়েছে। হামলা চালাতে পারে, এমন ঢালাও অভিযোগে যদি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফর স্থগিত করতে পারে, তাহলে তাদের সবার ঘরে বসে থাকা উচিত।
বাইরে বেরুলেই হামলা হতে পারে, বাসে হামলা হতে পারে, ট্রেনে হামলা হতে পারে, বিমানে হামলা হতে পারে। হামলা তো যে কোনো জায়গাতেই হতে পারে। আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। নইলে নন্দদুলালের মতো ঘরে বসে থাকতে হবে। আর আশঙ্কার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবেই বলতে হবে। হাওয়ায় তলোয়ার ঘুরিয়ে লাভ হবে না। অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর স্থগিতের ঘটনা দেখে আমার সেই বাঘ আর হরিণ শাবকের গল্পই মনে পড়ে গেল।
পাহাড়ি ঝরনায় পানি খেতে গিয়ে হরিণ শাবক দেখে লোভ হলো বাঘের। অজুহাত তৈরি করতে বলল, তুই পানি ঘোলা করেছিস কেন, আমি তোকে খাব। হরিণ শাবক বলল, হুজুর আমি তো আপনার ভাটিতে, আমার পক্ষে তো আপনার পানি ঘোলা করা সম্ভব নয়। তখন বাঘ বলল, তুই না করলে তোর মা করেছে। তোকে আমি খাবই। অস্ট্রেলিয়া আসবে না আসবে না। অযথা আমাদের বিরুদ্ধে পানি ঘোলা করার অভিযোগ আনতে হবে কেন?
এটা ঠিক জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা। এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তে হবে সবাইকে একসঙ্গে। বিচ্ছিন্নভাবে লড়তে গেলে এ লড়াইয়ে জেতা কঠিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কথা বলেছেন। তার মানে এই নয়, বাংলাদেশে জঙ্গিরা জাঁকিয়ে বসেছে। তবে এ কথাও ঠিক মন্ত্রিসভার কয়েকজন সিনিয়র সদস্য বারবার 'জঙ্গি' 'জঙ্গি' বলে রীতিমতো জিগির তুলেছিলেন। তারা বিএনপি-জামায়াতের দিকে আঙ্গুল তুলছিলেন।
বিএনপি-জামায়াত গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এবং এ বছর এ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে আন্দোলনের নামে যা করেছে, তা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। রাজনীতির নামে চরম নৃশংসতার উদাহরণ হয়ে থাকবে তাদের এই তৎপরতা। বিএনপি-জামায়াত যা করেছে, তা নির্মম, নৃশংস, অগণতান্ত্রিক হতে পারে; কিন্তু কোনোভাবেই জঙ্গি তৎপরতা নয়। কিন্তু মন্ত্রীদের কেউ কেউ বিএনপি-জামায়াতকে জঙ্গি সংগঠন বানাতে গিয়ে এখন নিজেরাই মনে হয় সেই ফাঁদে পড়েছেন। বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার একমাত্র প্রমাণ হতে পারে মন্ত্রীদের এ বক্তব্য।
অবস্থাটা হয়েছে, সেই রাখাল বালকের মতো, যে গ্রামবাসীকে বাঘ এলো, বাঘ এলো বলে ভয় দেখায়। গ্রামবাসী ছুটে এসে দেখে বাঘ নেই। কিন্তু সত্যি যেদিন বাঘ এলো, সেদিন আর কেউ রাখাল বালককে বাঁচাতে এলো না। আমরাও কি 'জঙ্গি' 'জঙ্গি' করতে করতে আসল জঙ্গিদের আড়াল করেছি, ভয়টা কাটিয়ে দিয়েছি। আজ সেই অলিক জঙ্গি জুজুকে পুঁজি করেই অস্ট্রেলিয়া আমাদের ইমেজে বড় কালিমা লেপে দিল। শান্ত বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া এলো না। আর আমরা কিনা পাকিস্তানের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জঙ্গির আখড়ায় আমাদের মেয়েদের পাঠিয়ে দিলাম।
আমি অস্ট্রেলিয়ার এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা বলছি না, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা নেই বা থাকতে পারে না। হয়তো আছে, তবে অবশ্যই তা পূর্ব নির্ধারিত ক্রিকেট সফর বাতিল করে দেওয়ার মতো নয়। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে তারা বলুক। প্রমাণ দিক, বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তা নির্মূলের। কিন্তু হাওয়াই অভিযোগের তো কোনো বিচার হয় না। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাতারে নামিয়ে আনার এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে সবাইকে।
সুখের কথা, এ ইস্যুতে বিএনপিও সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারাও বলছে, বাংলাদেশে জঙ্গি নেই, অন্তত ক্রিকেট সফর বাতিল করার মতো তো নেই-ই। অস্ট্রেলিয়ার এ সফর স্থগিত বাংলাদেশের জন্য বহুমাত্রিক ও সুদূরপ্রসারী ক্ষতির কারণ হবে। ভাবমূর্তির সংকট তো আছেই। আছে নগদ আর্থিক ক্ষতির শঙ্কাও। এই পুরো ক্ষতি টাকার অঙ্কে মাপা যাবে না। তবুও আমরা অস্ট্রেলিয়ার কাছে ক্ষতিপূরণ চাই।
পুনশ্চ : ২ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পুলিশ সদর দফতরের সামনে বন্দুকধারীদের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। আর ১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যে একটি কলেজে ঢুকে এক দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছে। এখন আমরা কি আমাদের নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে সতর্কতা জারি করতে পারি? আমরা কী বলতে পারি, কেউ অস্ট্রেলিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট খেলতে, রাগবি খেলতে, ফুটবল খেলতে, জুয়া খেলতে বা বেড়াতে যাবেন না। কলেজ, এমনকি পুলিশ সদর দফতরের সামনেও আপনি নিরাপদ নন। হায়, চালুনি বলে সুইকে, তোর পাছায় কেন ছিদ্র!-বিডিপ্রতিদিন
৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে