সোমবার, ০৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৩৬:৫৫

কাঁদলেন রাজনের মা লুবনা

কাঁদলেন রাজনের মা লুবনা

নিউজ ডেস্ক : সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে দ্বিতীয় দিনের মতো  রোববার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হচ্ছিল বহুল আলোচিত শিশু রাজ হত্যার। সাক্ষ্য দিতে আসেন রাজনের মা।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধার আদালতে নিহত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনের মা লুবনা আক্তার ছাড়াও সাক্ষ্য দিয়েছেন রাজনের ছোট চাচা শেখ মো. আল আমিন, হত্যার ঘটনাস্থল কুমারগাঁয়ের ব্যবাসায়ী জিয়াউল হক ও মাসুক মিয়া। সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রতিবেশী ইশতিয়াক আহমদ সাক্ষ্য দিতে পারেননি। ৭ অক্টোবর পরবর্তী তারিখে তার সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর ১২টা থেকে আদালতে রাজন হত্যা মামলার ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। ওই পাঁচ জনের মধ্যে নিহত রাজনের মা লুবনা আক্তারও ছিলেন। প্রথমেই নেয়া হয় রাজনের মা লুবনা আক্তারের স্বাক্ষ্য। ছেলে হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় আদালতে দাঁড়ি বেশ কিছু সময় ধরে অঝোরে কাঁদেন তিনি। কান্না থামিয়ে থেমে থেমে সাক্ষ্য দিতে তিনি প্রায় পৌণে ২ ঘন্টা সময় নেন।

রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট শওকত চৌধুরী জানান, রাজনের মা লুবনা সাক্ষ্য দিতে এসে ছেলের জন্য কান্না করেছেন। এক পর্যায়ে কেঁদে কেঁদে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি তাঁর ছেলে হত্যাকারী কামরুল, ময়না, মুহিদসহ অন্যদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার(১ অক্টোবর) আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য দেন মামলার জালালাবাদ থানার সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই আমিনুল ইসলাম ও রাজনের বাবা আজিজুর রহমান।

আগামী ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবরও সাক্ষ্য নেওয়া হবে। মামলার মোট সাক্ষী ৩৮ জন।

এডভোকেট মফুর আরো জানান, রবিবার সাক্ষ্য গ্রহনের সময় রাজন হত্যায় গ্রেপ্তারকৃত ১০ আসামি উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষীদের জেরা করেন আসামি পক্ষের এডভোকেট শাহ আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল খালিক, আলী হায়দার ফারুক, আখতারুজ্জামান ও শাহ আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-এডভোকেট ই ইউ শহিদুল ইসলাম শাহীন।

আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদ; পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।

এদের মধ্যে পলাতক কামরুল, শামীম ও পাভেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে।

গত ৮ জুলাই ভোরে ‘চোর’ সন্দেহে শিশু রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নির্মম নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সিলেটসহ দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়
৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে