ঢাকা : একসঙ্গে বসবাসের কথা স্বীকার করলেও বিয়ের কথা অস্বীকার করেন ওই ছাত্র। অবশেষে ছাত্রীর মামলায় গ্রেপ্তার হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র আতাউল্লাহ হাসান। মেয়েটিও একই বিভাগের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর কদমতলী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এর আগে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে অভিযোগ করেছিলেন মেয়েটি।
মঙ্গলবার দুপুরে চলে দীর্ঘ সালিশ বৈঠক। কোনো ফয়সালা না হওয়ায় পরে ছেলেটিকে সোপর্দ করা হয় পুলিশে।
২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে সাংবাদিকতা বিভাগে একসঙ্গে ভর্তি হওয়ার পর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ওই ছেলে এবং মেয়েটি। মেয়েটির অভিযোগ, বিয়ে করে ২০১২ সালের আগস্ট থেকে জুরাইনের একটি বাসায় থেকে আসছিলেন তারা।
তবে সম্প্রতি হাসান বিয়ের কথা অস্বীকার করলে মেয়েটি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই কাবিননামা ভুয়া। প্রক্টর কার্যালয়ে দেয়া অভিযোগে মেয়েটি দাবি করেন, সোমবার দেখা করতে গেলে হাসান তাকে লাথি দিয়ে ফেলে দেন।
সালিশ বৈঠকে বিয়ের কথা অস্বীকার করে মেয়েটিকে চরিত্রহীন দাবি করেন হাসান। সালিশের এক পর্যায়ে হাসানকে প্রস্তাব দেয়া হয় মেয়েটিকে বিয়ে করতে। কিন্তু তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছিল। ছেলে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার না করলেও লিভ টুগেদারের কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু ছেলের ফাঁসি হলেও ওই মেয়েকে বিয়ে করবে না জানালে তার বিরুদ্ধে মামলা করে ওই ছাত্রী। পরে তাকে পুলিশ নিয়ে যায়।
২৮ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম