ঢাকা : কাশ্মীরে উরি সেনা দফতরে হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান এখন মুখোমুখি। সামরিক সংঘাত দৃশ্যমান না হলেও কূটনৈতিক ফ্রন্টে দ্বন্দ্ব ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। সেনা ঘাঁটি আক্রান্ত হওয়ার পর সামরিক পদক্ষেপের চেয়ে কূটনৈতিক জবাবের ওপর গুরুত্ব দেয় ভারত।
সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে। অবশ্য টানটান উত্তেজনার ওই মুহূর্তে পাকিস্তানে রুশ সেনাদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেশটির সেনাবাহিনীর মহড়া ওই ঘোষণাকে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকেও এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন সাড়া পায়নি ভারত।
তবে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক শীর্ষ সম্মেলন 'ভণ্ডুল' করে দিয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে কিছুটা হলেও ভারত সফল হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নভেম্বরে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন বয়কটের ঘোষণা দেয় ভারত। মঙ্গলবারই ভারতের পক্ষ থেকে এই সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ভারতের এ ঘোষণার পর এই সম্মেলনে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং ভুটানও। সার্ক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাকি তিনটি দেশ- নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। ইতিমধ্যে নেপালের সঙ্গেও কথা হয়েছে ভারতের।
তবে বুধবার দুপুরে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অন্য কোনো দেশের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কারণেই পাকিস্তানে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছে না বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত ভারতসহ একাধিক দেশের বয়কট ঘোষণায় ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ভেস্তে যাওয়ার পথে। কারণ, সার্ক সনদ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার আট-জাতির আঞ্চলিক জোটের কোনো সদস্য দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান না গেলে শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়। সেখানে ইতিমধ্যেই ৪টি দেশ যোগ দিতে না করে দিয়েছে। তাই এক হিসেবে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ‘স্থগিত’ হয়ে গেল।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি