বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৬:০৯:৫০

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঢাকা : রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

একইসঙ্গে আদালত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে তাদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দের।  শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন আগামী ২ নভেম্বর।

পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামি হলেন একুশে টিভির সাংবাদিক মাহাথির ফারুকী খান।

গত ৬ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তারেক-মাথিরসহ একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ও সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ইমদাদুল হক।  আবদুস সালাম কারাগারে এবং কনক সারোয়ার জামিনে রয়েছেন।

২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বোরহানউদ্দিন।  পরে ওই মামলায় গত ১১ জানুয়ারি আব্দুস সালামকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।  গত ১৯ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টা ২৮ মিনিটে (যুক্তরাজ্য সময় ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ২৮ মিনিটে) যুক্তরাজ্য বিএনপির ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন তারেক রহমান।  তার বক্তব্য প্রচার করে ইটিভি, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

অভিযোগে বলা হয়,  তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেছেন, ‌‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি একজন রাজনৈতিক নেতার কবর জেয়ারত করে এবং রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে নিরপেক্ষ ও ন্যায়বিচার করতে পারবেন না।’

‘বিডিআর হেডকোয়ার্টাস পিলখানায় আওয়ামী লীগের মুখোশপরা লোকেরা ৭৫ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করে।  ওই  হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দাবিদার সেনা অফিসারদের চাকরিচ্যুত করা হয়’ মর্মে বক্তব্য দেন।

তার এ ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে সরকারের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’

‘একটি বিশেষ এলাকার পুলিশকে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে’ বক্তব্যের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ ও বিভক্তি সৃষ্টি এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করতে প্ররোচিত করার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রয়াস চালান।

তারেক রহমান প্রশাসনের লোকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।  তিনি তার বক্তব্যে ঢাকা শহরকে অন্য জেলা শহর থেকে এবং ঢাকার এক এলাকাকে অন্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।’

অভিযোগে বলা হয়, তার এসব বক্তব্য আব্দুস সালাম ও অন্যদের সহযোগিতায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও আইনানুগ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, উস্কানিমূলক তথ্যাদি একুশে টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার করে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন।

২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে ইটিভি কার্যালয়ের নিচ থেকে আবদুস সালামকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।  এরপর তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানার পর্নোগ্রাফি আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির করা হয়।  আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
২৯ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে