বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫৪:৫০

কোকোর স্ত্রী শার্মিলা ও দু’মেয়ের জবাব দাখিল ১১ অক্টোবর

কোকোর স্ত্রী শার্মিলা ও দু’মেয়ের জবাব দাখিল ১১ অক্টোবর

অ্যাড. এমদাদুল হক লাল, আদালত প্রতিবেদক : বহুল আলোচিত ড্যান্ডি  ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ের সমনের জবাব দাখিলের জন্য আগামী ১১ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে এ মামলায় বৃহস্পতিবার তাদের পক্ষে জবাব দাখিলের জন্য তারিখ ধার্য্য ছিল। কিন্তু তাদের পক্ষের আইনজীবী জবাব দাখিল করতে না পায়ায় সময়ের আবেদন করা হয়।

শুনানি শেষে বিচারক সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন। চলতি বছরের ১৪ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে সমনের জবাব দাখিল করেন আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।

সোনালী ব্যাংকের দায়ের করা ৪৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের এ মামলাটির বিবাদী ছিলেন কোকো।  মামলার বিবাদী  আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক অংশীদারি মামলায় তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শার্মিলা রহমান এবং দু’মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য গত ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ মার্চ ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আরা হ্যাপী এ মামলায় তাদের বিবাদী করেন।  মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, সুমাইয়া এস্কান্দার, শাহীনা ইয়াসমিন, বেগম নাসরিন আহমেদ, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান। এ মামলার ১০ নং বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা গেলে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে বিবাদীভুক্ত করা হয়।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে ,গত ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডায়িংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন।  ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনে উল্লেখ করা ঋণ মঞ্জুর করে।  

গত  ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে।  পরে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃতফসিল করে দেয়।  কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

গত ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিস দেয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি। ফলে গত ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান।
১০ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে