রবিবার, ০২ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:০৯:২৯

যে কারণে বদলে ফেলতে হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র

যে কারণে বদলে ফেলতে হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র

সাদা কাগজে, সাধারণ কম্পিউটার প্রিন্টারে চার রঙে ছাপা জাতীয় পরিচয় পত্র এবং তা টেকসই করতে উপরে লেমিনেটিং নামে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের আস্তর। একপাশে ছবি, নাম, পিতার নাম আর পরিচয় পত্র নম্বর। অন্য পাশে ঠিকানা ও যন্ত্রে পাঠযোগ্য কোড।

গত আট বছর ধরে বাংলাদেশের নাগরিকেরা এরকম একটি জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে পরিচিত। এই পরিচয় পত্রটি কম-বেশী সব ধরণের নাগরিক সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রেই এখন অবশ্য প্রয়োজনীয় একটি দলিল।

কিন্তু এই পরিচয় পত্রটি বদলে প্লাস্টিকের একটি টেকসই ও যন্ত্রে পাঠযোগ্য স্মার্ট কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। আজ সকালে সেই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য সহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হাতে এই স্মার্ট কার্ড তুলে দেয়ার মাধ্যমে কর্মসূচিটি শুরু হয়। আগামীকাল সোমবার থেকে বিতরণ শুরু হবে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে।

কিন্তু আট বছর ধরে এক ধরণের পরিচয় পত্র নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করার পর সেটি এখন বদলে ফেলার প্রয়োজন কেন হল?

জাতীয় পরিচয় পত্র প্রকল্পের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানজ্জামান মোহাম্মদ সালেহউদ্দীন বলছেন, ছাপা কাগজে লেমিনেটিং করা পরিচয়পত্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় নাগরিকেরা এই এর অপব্যবহার করার প্রেক্ষাপটে এটিকে উন্নতমানের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত কার্ডে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নতুন যে আইডি কার্ডটি বিতরণ করা হচ্ছে, সেটি ৫টি স্তরের পলি-কার্বনেট দিয়ে তৈরি। এর ভেতরে একটি চিপ রয়েছে। আর রয়েছে তিনটি স্তরের বিভক্ত পঁচিশটি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য। এমনকি এই কার্ডের ভেতরে থাকবে নাগরিকের বায়োমেট্রিক তথ্য, অর্থাৎ আঙুলের ছাপ, চোখের মনির ছবি ইত্যাদি।

সালেহউদ্দীন বলছেন, 'এটার নিরাপত্তা বুহ্য অতিক্রম করার অত্যন্ত দুষ্কর হবে। মান বজায় রাখা যাবে। আর ব্যবহার ও গ্রহণযোগ্যতা উন্নীত হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে'।

আর জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনের ক্ষেত্রে নতুন এই স্মার্ট কার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন বক্তব্য দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় মোট নয় কোটি এরকমের স্মার্ট কার্ড তৈরি করে আগামী দিনগুলোতে নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানান জাতীয় পরিচয় পত্র প্রকল্পের মহাপরিচালক।

কিভাবে সংগ্রহ করা যাবে এই স্মার্ট কার্ড?
সালেহউদ্দীন জানাচ্ছেন, প্রতিটি সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিতরণ শিবির বসানো হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকদের আগে থেকেই জানিয়ে দেয়া হবে শিবির বসানোর দিনক্ষণ। নির্ধারিত দিনে নাগরিকেরা ওই শিবিরে এসে, আঙুলের ছাপ দেবেন, চোখের মনির ছবি তুলবেন এবং পুরনো কার্ড জমা দেবেন। পরিবর্তে সঙ্গে সঙ্গেই তার হাতে তুলে দেয়া হবে নতুন স্মার্ট কার্ড। -বিবিসি।
০২  অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে