নিউজ ডেস্ক : শিক্ষকদের অসম্মান করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বরখাস্ত করা উচিত বলে মনে করে বিএনপি। একইসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাটের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বক্তব্যকে শুভঙ্করের ফাঁকি বলে অভিহিত করেছে দলটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের ভ্যাট থাকতে পারবে না, এটা প্রত্যাহারের দাবি করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন দলের পক্ষে এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে রিপন বলেন, এনবিআরের বক্তব্য শুভঙ্করের ফাঁকি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে প্রশমিত করতেই তারা বিভ্রান্তিমূলক কথা বলছেন। প্রতিষ্ঠান যখন ভ্যাট দেবে, তখন তারা অন্য জায়গা থেকে অর্থ আনবে না। প্রতিষ্ঠান সাত ভাগ ভ্যাট আদায় করার জন্য প্রকারান্তরে শিক্ষার্থীদের বেতনটা বাড়িয়ে দেবে। সেমিস্টার, ল্যাবরেট ফিসহ অন্যান্য সুবিধাদির ফি বাড়িয়ে দেবে প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ও দেবে না, শিক্ষার্থীরাও দেবে না। ভ্যাট তাদের ওপর আরোপ করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট থাকতে পারবে না। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়।
বেতন স্কেল প্রসঙ্গে রিপন বলেন, বাজারের বাস্তবতায় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি বিএনপি সমর্থন করে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বচ্ছ জীবনযাত্রার জন্য বাজার উপযোগী বেতন থাকা উচিত, তাতে মেধাবীদের সরকারি চাকরির প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। নতুন পে স্কেলে বাজারের ওপর প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও নানাভাবে পাঁচ কোটি মানুষ সংশ্লিষ্ট। তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সরকারের হাতে না থাকলেও বেসরকারি খাতের কর্মজীবীরা বাজার উত্তাপ ও মূলবৃদ্ধিসহ নানা চাপে নিজেদের বাঁচাতে পারবেন না।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বিভিন্ন ক্যাডার থেকে বেতন বৈষম্য বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার বেতন বৈষম্যের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সাথে নেবেন। পূর্বের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পূনর্বহাল করার দাবি করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে রিপন বলেন, অষ্টম পে-স্কেলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উত্থাপিত দাবি-দাওয়ার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা আমাদের প্রতিবেশী দেশেগুলোর তুলনায় অনেক কম। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সন্মানজনক না হওয়ায় প্রকৃত মেধাবীরা শিক্ষকতার পেশায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হালিম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
১০ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম