ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ দলের সিনিয়র নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে হলেও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
মহিলা দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহিলা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নির্বাচন দিলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতাতো দূরের কথা বিরোধী দলেও থাকতে পারবে না আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানের সঙ্গে আপনি (শেখ হাসিনা) যেকোনো আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দেখুন জয়লাভ করতে পারেন কিনা। আপনার চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হবে জাইমা।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের চোখ এখন শিক্ষার্থীদের ওপর পড়েছে। সংসদে বড় বড় বাজেট পাস করে শিক্ষার্থীদের ভ্যাট বৃদ্ধি করেছেন অর্থমন্ত্রী। কারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারলে নিজেদের কমিশনটা বেশি হবে।
তিনি বলেন, যেখানে বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের বাজারমূল্য কমে তিন ভাগের একভাগ হয়েছে; সেখানে বাংলাদেশে তেল ও গ্যাসের মূল্য প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তেল ও গ্যাসের দাম বাড়লেও পরিবহনের ভাড়া বাড়বে না। এরপরও পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অবিলম্বে তেল ও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি পরিবহনের ভাড়া কমাতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে বড় বড় কথা বললেও ভেতরে ভেতরে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো জনসমর্থন নেই।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আজ থেকে কয়েকদিনের মধ্যে আমি রাজধানীর ৫২টি থানায় ও প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১০ জন করে রাজপথে মহিলা নেত্রী দেখতে চাই। আপনারা এ কাজ করতে ব্যর্থ হলে মহিলা দলের কমিটি দেয়া হবে না।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভানেত্রী নূরে আরা সাফা।
বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
১০ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম