বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১০:৪৭:০৭

যে কারণে জনতা ব্যাংকের ২ ডিজিএম গ্রেফতার হলেন

যে কারণে জনতা ব্যাংকের ২ ডিজিএম গ্রেফতার হলেন

নিউজ ডেস্ক: ঋণ জালিয়াতি মামলায় জনতা ব্যাংকের দুই উপ-মহাব্যবস্থাপককে (ডিজিএম) গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার মতিঝিলে ব্যাংকের স্থানীয় অফিস থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, বিসমিল্লাহ গ্রুপের দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান জালিয়াতি করে ঋণের নামে জনতা ব্যাংকের ৩৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। ঋণ-সংক্রান্ত ব্যাংকের নথিপত্র যাচাই করে দেখা গেছে, ঋণের অর্থ প্রাপ্তিতে ওই দুই কর্মকর্তা সহায়তা করেছেন। এই অভিযোগে বিসমিল্লাহ গ্রুপের দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত করছেন সংস্থার উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন।

দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম বৃহস্পতিবার দুই ডিজিএমকে অফিস থেকে গ্রেফতার করে। টিমে আরও ছিলেন উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী, এসএম রফিকুল ইসলাম, মো. আহমেরুজ্জামান ও তদন্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, টেরিটাওয়েল রফতানির নামে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতাসহ পাঁচটি ব্যাংক থেকে প্রায় ১২শ' কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও ব্যাংকের মোট ৫৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করে দুদক। ওইসব মামলায় ৫৩ জন আসামির মধ্যে বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১৩ জন ও বিভিন্ন ব্যাংকের ৪০ কর্মকর্তার নাম রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মামলা দায়েরের সময় টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত নেপথ্য নায়কদের আসামি করা হয়নি। তদন্তের একপর্যায়ে তাদের নাম সামনে চলে আসে। কিন্তু পরে অজ্ঞাত কারণে আসামির তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। প্রভাবশালী এক এমপির ছেলে অ্যাডভোকেট জামিল হাসান দুর্জয় এবং আরেক এমপির ছেলে মোহাম্মদ আলীকে বিসমিল্লাহ গ্রুপে পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছিল।

তদন্তকালে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় তাদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অধিকতর যাচাইয়ের সুযোগ রয়েছে। ওই সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হেসেন। তখন তিনি উপ-পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।-সমকাল
০৬ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে