রবিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০১৬, ০৫:১৬:৩৬

চীনকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেবে বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

চীনকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেবে বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভারতের মতো চীনের সঙ্গেও বাংলাদেশের বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে। কিন্তু ভারতেরটা নিয়ে যত আলোচনা হয়, চীনেরটা নিয়ে তত আলোচনা হয় না। যদিও এই দুই দেশ থেকে বেশি আমদানি করে বাংলাদেশই লাভবান হচ্ছে।

আজ রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‌‘বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ।

বৈঠকে তিনি আরও বলেন, চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে চীনে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ শতাংশ। যেখানে দেশের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ শতাংশ। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসছেন, সে সময় বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সই হবে। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইতিমধ্যে ২০টির কাজ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে একটি চীনকে দেওয়া হবে।

তবে চীন বাংলাদেশে যেসব প্রকল্পে অর্থায়ন করে, সেগুলোর ক্ষেত্রে একটি অসুবিধার দিক আছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। যেমন শর্ত দেওয়া হয় চীনের প্রকল্পগুলোতে টেন্ডার দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রায় প্রশ্ন তোলেন বলে জানান তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকে সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশকে অনেকে খাটো করে দেখে। যেমন পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বিশ্বব্যাংক। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তায় এবং চীনের সহযোগিতায় আজ পদ্মা সেতু হচ্ছে। এ ছাড়া সমুদ্র অর্থনীতিতেও ( ব্লু ইকোনমি) চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকে সভা পরিচালনা করেন ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে হারে বাণিজ্য বাড়ছে, সে হারে বিনিয়োগ বাড়ছে না। তবে আশার কথা এই যে সম্প্রতি চীন থেকে যতটুকু বিনিয়োগ বাড়ছে, তা উৎপাদনশীল খাতেই বাড়ছে। যোগাযোগ সম্পৃক্ততা বাড়াতে চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ নীতি পরিকল্পনা আছে। এ পরিকল্পনাতে বাংলাদেশ আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে কলকাতা আছে। বাংলাদেশের মংলা অথবা পায়রা বন্দরকে চীনের এ নীতিতে সম্পৃক্ত করতে সরকারি পর্যায়ে চেষ্টা করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
০৯ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে