পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও): নব্য জেএমবির অর্থের সমন্বয়কারী নিহত আবদুর রহমান ওরফে রাকিবুল ওরফে সারোয়ার হোসেন ওরফে নাজমুল হকের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রুমি আট বছর আগে বাড়ি ছাড়ে বলে দাবি করেছেন তার মা সফুরা বেগম।
শনিবার ঢাকার আশুলিয়ায় র্যাবের অভিযানে পঞ্চম তলা থেকে লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ে আহত হন আবদুর রহমান। হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় আবদুর রহমানের স্ত্রী জেএমবির নারী শাখার সক্রিয় সদস্য শাহনাজ আক্তার রুমিকে। স্বামীর পাশাপাশি সেও জঙ্গি কার্যক্রমে তৎপর ছিল। এরই মধ্যে সে নব্য জেএমবির বাইয়াত নিয়েছে। তার বাবার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের চন্দরিয়া গ্রামে।
সোমবার দুপুরে চন্দরিয়া গ্রামে শাহনাজের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে সাংবাদিকদের কাছে তার মা সফুরা বেগম দাবি করেন, রুমি আট বছর আগে বাড়ি ছাড়ে। এরপর থেকে তার বাবার বাড়ির লোকজনের কোনো যোগাযোগ ছিল না।
তিনি বলেন, 'প্রায় ৮ বছর আগে শাহনাজ চন্দরিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। সে সময় তার বিয়ে দিতে চাইলে সে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। এর পর ঢাকায় নিজেই বিয়ে করে। আমাদের সাথে তার কোনো যোগাযোগ নেই। হঠাৎ লোকমুখে জামাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনি এবং মেয়ে গ্রেফতার হয়েছে বলে জানতে পারি।'
জামাইকে কোনোদিন দেখেননি বলেও এ সময় দাবি করে তিনি।
তার বোন বেলি আকতার জানান, শাহনাজ স্থানীয় চন্দরিয়া সরকারি প্রাথমিক স্কুল থেকে পঞ্চম, চন্দরিয়া হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং চন্দরিয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। এর বিয়ে দিতে চাইলে সে রাজি হয়নি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, শাহনাজের বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তেমন স্বচ্ছল না হলেও এলাকায় যথেষ্ট ভাল মানুষ হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। তার মেয়ে বাড়ি ছেড়ে গিয়ে এরকম কাজ করবে এটা ভাবা যায় না।-সমকাল
১০ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর