নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী প্রতি ৭ সেকেন্ডে একটি করে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে। এর শিকার হচ্ছে ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েরা। সেভ দ্য চিলড্রেনের নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরো উঠে এসেছে, ১০ বছর বয়সের অনেক মেয়েকে তাদের চেয়ে বয়সে অনেক বড় পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব ঘটনা বেশি ঘটছে আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ভারত ও সোমালিয়ার মতো দেশে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, গতকাল আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসে নতুন প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। সংগঠনটি বলছে, বাল্যবিবাহের ফলে নানা ধরনের অসুবিধার মধ্যে মেয়েদের পড়তে হয়। আর দেশে দেশে সংঘর্ষ, দারিদ্র্য ও মানবিক সংকটের মতো কারণ মেয়েদের বাল্যবিবাহের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সংগঠনটির সিইও হেল থর্নিং-স্মিট বলেন, ‘বাল্যবিবাহ মেয়েদের জীবনে সমস্যার একটি চক্র তৈরি করে। এটা মেয়েদের শিক্ষা ও বিকাশের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, বঞ্চিত করে তাদের শিশু থাকার সুযোগ থেকে। বেশি অল্প বয়সে যেসব মেয়ের বিয়ে হয় তাদের বেশিরভাগই স্কুলে যেতে পারে না এবং তাদের পারিবারিক সহিংসতা, নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
তারা গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং এইচআইভিসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকিতে থাকে।’ ‘এভরি লাস্ট গার্ল’ নামের ওই প্রতিবেদনে স্কুলে যাওয়া, বাল্যবিবাহ, অল্পবয়সে গর্ভধারণ, মাতৃমৃত্যুর হার ও সংসদে নারীদের উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে মেয়েদের জন্য সবচেয়ে কঠিন দেশের র্যাংকিং করা হয়েছে। এই র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে নিচের পাঁচটি দেশ হলো- চাদ, নাইজার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, মালি ও সোমালিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে সেসব দেশের মেয়েরাই বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে বেশি রয়েছে। অনেক শরণার্থী পরিবারেই মেয়েদের দারিদ্র্য ও শারীরিক নির্যাতনের হাত থেকে মেয়েদের বাঁচাতে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে থাকে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের মানবিক বিপর্যয়েও মেয়েরা ক্ষতির শিকার হয়। যেমন- সিয়েরা লিওনে ইবোলা মহামারীর কারণে দেশটির স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় প্রায় ১৪ হাজার কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। ইউনিসেফের হিসাবে, বর্তমানে বিশ্বে বাল্যবিয়ের শিকার মেয়েদের সংখ্যা প্রায় ৭০ কোটি। ২০৩০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা ৯৫ কোটিতে দাঁড়াবে।
১২ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ