নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি ১০ টাকায় চাল ব্রিক্রির বিশেষ কর্মসূচি চালু করে সরকার। ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার নামে ক্ষমতাসীনরা সারাদেশে গরিবের চাল লুটপাট করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষের নামে কার্ড ইস্যু করার কথা থাকলেও স্বচ্ছল ব্যক্তিরা কার্ড পাচ্ছেন। ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে ক্ষমতাসীনদের নেতাকর্মীদের। তালিকা প্রণয়নের নামে বিপণন কার্ডও বিক্রয়ে ভাওতাবাজি করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
নিম্নমানের চাল, কার্ড বিতরণে অনিয়মসহ নানা অভিযোগ করে দুদু বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের লাভবান করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, যদি কেউ চাল চুরি করে কাউকে ছাড়া হবে না। এতে প্রমাণ করে গরিবের চাল চুরি হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে জনগণের কাছে ওয়াদা করেছিল তারা ক্ষমতায় গেলে ১০ টাকা কেজি হিসেবে চাল, বিনামূল্যে সার, ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, ঘরে ঘরে চাকরি ও দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখবে। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ায় সাত বছর পার হলেও ১০ টাকা কেজি চাল দেয়া তো দূরের কথা, বিগত দিনে তাদের আমলে মোটা চালের মূল্য ৪০ ও অন্যান্য চাল ৫০/৬০ টাকায় কিনে খেতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নির্বাচনের আগে মিথ্যা ও ভাওতাবাজির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে কেবলমাত্র দলীয় নেতাকমী-সমর্থকদেরকে অবৈধ ও অনৈতিকভাবে লাভবান করার জন্য।’
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, শাসকগোষ্ঠী যেহেতু জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় এবং জনগণের কাছে কোন জবাবদিহিতা বা দায়বদ্ধতা নেই সেহেতু জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করে নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। বর্তমান অনৈতিক সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনগণের সম্পদ লুন্ঠন হবে এটাই দেশবাসীর বদ্ধমূল ধারণা।’
সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরকে মোটাতাজাকরণের যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা শাসকগোষ্ঠীর জন্য বুমেরাং হবে।’
তিনি দলের পক্ষ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির নামে যে অনিয়ম, লুটপাট ও দুর্নীতি চলছে তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের বিএনপি নেতা শামীম পারভেজকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তার মুক্তি দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ।
১৩ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর