মঙ্গলবার, ০৬ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:০৩:০৩

‘মর্যাদা-সম্মান এক নম্বর, টাকাটা দুই নম্বর’

‘মর্যাদা-সম্মান এক নম্বর, টাকাটা দুই নম্বর’

নিউজ ডেস্ক : অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানলে ১ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

দাবি-দাওয়া পূরণের বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা এ কর্মসূচির কথা জানান।  এর আগে সকালে ফেডারেশনের সভায় লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত হয়।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টার বৈঠকে কোনো সুরাহা হয়নি।  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো ও অষ্টম বেতন কাঠামোতে বৈষম্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের মান, মর্যাদা, ইজ্জত রক্ষা করে বেতন কাঠামোর ব্যাপারে প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করার যথাযথ ভূমিকা নেয়ার চেষ্টা করব।  আশা করি সে বিষয়গুলোর সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাধান বেরিয়ে আসবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শুরু হয়।  বৈঠকের শুরুতে ফেডারেশনের নেতারা দাবি-দাওয়া সম্বলিত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা শিক্ষামন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

প্রস্তাবনায় পাঁচটি দাবির মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে একটি বেতন কমিশন গঠন। স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত অষ্টম বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে সিনিয়র অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা গ্রেড-১, অধ্যাপকদের গ্রেড-২, সহযোগী অধ্যাপকদের গ্রেড-৩, সহকারী অধ্যাপকদের গ্রেড-৫ ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামো সপ্তম গ্রেডে নির্ধারণ।

অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে প্রস্তাবিত গ্রেড-১ প্রাপ্ত সিনিয়র অধ্যাপক হতে ২৫ শতাংশ শিক্ষককে সুপার গ্রেডের দুই নম্বর ধাপে বেতন-ভাতা দেওয়া। রাষ্ট্রীয় ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সে শিক্ষকদের প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী পদমর্যাদাগত অবস্থান নিশ্চিত ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের মতো সুযোগ-সুবিধা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা।

শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকদের সমস্যাগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  অর্থমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরলেই সভা ডাকা হবে।  সেই সভায় বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।  শিক্ষকদের মর্যাদা-সম্মান এক নম্বর আর টাকাটা দুই নম্বর।

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বেতন-ভাতার জন্য আন্দোলন করছি না।  সম্মানের জায়গায় হাত দিলে শিক্ষকরা জিনিসটি মেনে নেবে না।  আশা করছি স্যারের (শিক্ষামন্ত্রী) নেতৃত্বে একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারব।
৬ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে