রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১০:৫২:৩১

ভারতকে সঙ্গে নিয়ে জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে একমত বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

ভারতকে সঙ্গে নিয়ে জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে একমত বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: নেপালের সাথে যৌথভাবে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
 
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী রোমি গাওচান থাকলি। এর আগে দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বৈঠকে মোট তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে আমরা উভয় দেশ ভারতকে সঙ্গে নিয়ে জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে একমত হয়েছি। কারণ ভারতের সহায়তা ছাড়া এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব নয়।
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে রেললাইন চালু করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নেপাল মংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। তাই মংলা থেকে খুলনা পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ শেষ হলেই দুই দেশের মধ্যে স্থলপথে পণ্য আনা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

 

রেল ট্রানজিটটি বাস্তবায়িত হলে বঙ্গোপসাগর দিয়ে পণ্য আমদানি করে মংলা নৌবন্দরে তা খালাসের পর মংলা-খুলনা হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর স্থলবন্দরে তা আনতে চায় নেপাল। এরপর ভারতের সিনবাদ রুট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে তা নেপালের বীরগঞ্জে প্রবেশ করানো সহজ হবে।
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে খুলনা-মংলা রেল লাইনের কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর দুই দেশ রেলের মাধ্যমে মংলাবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে নেপালের নাগরিকদের বিমানপথে ভিসা দেওয়া হয়। বাংলাবান্ধা ও রোহানপুর স্থলবন্দর দিয়ে নেপালিদের স্থল ভিসা দেওয়ার আহ্বান করেছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের একটি কমিটি কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ভিসা দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করা হবে।
 
রোমি গাওচান থাকলি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) কানেক্টটিভিটি চুক্তির এর আওতায় জলবিদ্যুৎসহ সড়ক ও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে আমদানি-রফতানি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত: ১৯৭৬ সালে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য শুরু হয়। এরপর থেকে বাণিজ্য কখনও আমাদের অনুকূলে কখনও নেপালের অনুকূলে ছিল। বর্তমানে ৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি-রফতানি করা হয়।
৬ অক্টোবর,২০১৬/ এমটি নিউজ২৪ ডটকম/ আ শি/ এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে