নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলায় হাইকোর্টের দেয়া সাজার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৮২ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশিত হয়।
এর আগে চলতি বছরের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের রায়ে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছিল।
একই মামলায় তারেকের বন্ধু মামুনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে নিম্ন আদালতে তাকে দেওয়া ৪০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড পরিবর্তন করে ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, নির্মাণ কনস্ট্রাকশন্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওই টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়। ওই হিসাব থেকে প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা খরচ করেন তারেক।
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন বিচার শেষে রায় ঘোষণা করেন। এতে তারেককে খালাস এবং মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও হয়।
২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের আবেদন করে দুদক।
১৭, অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস