মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ০৭:২৬:৫৩

শেখ রাসেলের নাম রাখার কাহিনী জানালেন প্রধানমন্ত্রী

শেখ রাসেলের নাম রাখার কাহিনী জানালেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের প্রতি অনুরক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলের নাম শেখ রাসেল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নাম রেখেছেন তাঁর মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা জানান, তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। তিনি তার নানা বই পড়ে শোনাতেন স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেও। এসব শুনতে শুনতে বেগম মুজিবও এক সময় বার্ট্রান্ড রাসেলের অনুসারী হয়ে উঠেন।

এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, ছোট থেকে রাসেল বড় হয়েছে বাবা-মা, ভাই-বোন সবার স্নেহ নিয়ে। কিন্তু কতটুকু পেয়েছে পিতৃস্নেহ? তাকে বড় হতে হয়েছে পিতৃ স্নেহবঞ্চিত হয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাজীবনের স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন বাবার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যেতাম, তখন রাসেলকে সেখান থেকে নিয়ে আসাটা কষ্টকর হতো।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন খুন করা হয় বঙ্গবন্ধু পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য শেখ রাসেলকেও। তার তখন বয়স হয়েছিল সবে ৯ বছর। অনুষ্ঠানে ছোট ভাইয়ের জন্ম, তার বেড়ে উঠা, রাজনীতিবিদ ব্যস্ত বাবার জন্য আকুতি, ভাই-বোনদের সঙ্গে তার খেলার বাসনা নিয়ে নানা স্মৃতিচারণ করেন শেখ হাসিনা। এ সময় মাঝেমধ্যেই তার গলা ভেঙে আসে আবেগে। কেঁপে কেঁপে উঠে কণ্ঠস্বর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে বাবাকে ছেড়ে আসতে চাইত না। তখন তার বা কতই-বা বয়স? ঠিকমতো কথাও বলতে শেখেনি। সে বাবাকে খুঁজে বেড়াত। মা বলতেন যে, আমিই তো তোমার বাবা। তখন সে মাকে মা বলেও ডাকত, বাবা বলেও ডাকত। এভাবেই রাসেল ছোট থেকে বড় হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্ত নিশ্চিহ্ন করতে ঘাতকরা রাসেলকে হত্যা করেছে। যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সব কষ্ট বুকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের কোনো শিশু লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হবে না। বাংলাদেশের মানুষ কারো কাছে মাথা নত করবে না।

১৮ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে