ঢাকা : গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি একথা জানিয়েছে।
গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তের পর সংগঠনের চেয়ারম্যান শরীফ রফিকউজ্জামান ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
এতে অবিলম্বে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির দাবি, সঠিক ব্যয় বিশ্লেষণ করা হলে ভুয়া এবং অযৌক্তিক ব্যয় বাদ দেওয়া গেলে বিদ্যমান ভাড়া আরো কম হওয়ার কথা। তাই ভাড়া বৃদ্ধি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, ভাড়া নিয়ে সঠিক চিত্র বেরিয়ে আসবে— সেই ভয়ে সরকার যাত্রী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে শুধু মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে সভা করেছে। এতে যাত্রী স্বার্থ চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। ভাড়া নৈরাজ্যকে আরো উসকে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে দেশের সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির আগেই মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া ৬০ ভাগ বাড়াতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) প্রচেষ্টা চালায়। নামমাত্র জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পেলেও বাস ভাড়া কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে।
নতুন গাড়ি দেখিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের পুরোনো লক্কড়-ঝক্কড়, মেয়াদ উত্তীর্ণ বাস ও অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধি করা যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করার শামিল। তাই পুরোনো গাড়ির ও নতুন গাড়ির আলাদা আলাদা ভাড়া নির্ধারণ করা জরুরি।
সরকারের সিদ্ধান্তে মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থ একচেটিয়াভাবে প্রাধান্য পেয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের গণমুখী নীতির পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ