শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ০৯:৪৩:৪৮

মাকে রাস্তায় ফেলে উধাও সন্তান, তিন দিন পর উদ্ধার

মাকে রাস্তায় ফেলে উধাও সন্তান, তিন দিন পর উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক: বৃদ্ধা মা-কে রাস্তার ওপর ফেলে যাওয়ার তিন দিন পর উদ্ধার করলো স্থানীয়রা। নড়াচড়া করতে প্রায় অক্ষম এই বৃদ্ধাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং সেখান থেকে পরে তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার  বাঁশাটি গ্রামে এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

৬৫ বছর বয়সী ঠগর রানী সাহা নামের এই বৃদ্ধা টানা তিন দিন দুই রাত রাস্তার ধারে একই স্থানে পড়েছিলেন। না খেয়ে এই বৃদ্ধা রাস্তার ওপর প্রায় নিশ্চল পড়ে থাকার এক পর্যায়ে তিনি পোকা-মাকড়ের খোরাকে পরিণত হয়ে ওঠেন। তার শরীরের কিছু মাংস পোকায় খেয়ে ফেলেছে। রাস্তা দিয়ে মানুষ জন ও গাড়ি যাতায়াত করলেও নিষ্ঠুর এই পৃথিবীর কারো নজরই কাড়তে সক্ষম হননি এই বৃদ্ধা। নান্দাইল থানা পুলিশ বলেছে, বিষয়টি আমরা অবগত ।ঠগর রানী সাহার সন্তানদের ধরার চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, তিনদিন আগে রাতের আধাঁরে একটি অটোতে করে ঠগর রানীকে নিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে অজানা উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় তার সন্তানরা। পথে তাকে জোর করে নামিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে পালিয়ে যায়। সেই থেকে বৃদ্ধা রাস্তার ওপরই পড়েছিল। পরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় স্থানীয় এক সাংবাদিক নজরে আসেন এই বৃদ্ধা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বৃদ্ধা ঠগর রানী সাহাকে নান্দাইল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পরে তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের বাড়ি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায়। স্বামীর নাম নিতাই সাহা। ঠগর রানীর সঙ্গে আলাপকালে জানান, তার সন্তানরা জোর করে তাকে গাড়িতে তুলে ফেলে পালিয়ে গেছে।

জানা যায়, ঠগর রানী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। বিনা চিকিৎসায় সে বাড়িতেই ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্তানরা এভাবে তাকে রাস্তায় ফেলে রাখতে পারে না। এটা আইনের চোখে অপরাধ। আমরা অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছি। ওর আত্মীয় স্বাজনদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নান্দাইল থানার ওসি আতাউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দায়ীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।-ঢাকা টাইমস
২১ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে