নিউজ ডেস্ক : পুরুষ সদস্যের পাশাপাশি আগামীতে বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেবেন নারী সদস্যরা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৩১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এ নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন নারীরা।
সীমান্ত পাহারার সঙ্গে নারী এবং শিশু পাচার বন্ধে নারী সদস্যরা বিশেষ ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
যাত্রা শুরু রামগড় ব্যাটালিয়ন হিসেবে। পাকিস্তান আমলে নাম ছিল ইপিআর। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল রাইফেলস সদস্যদের। দেশ স্বাধীন হলে নাম হয় বাংলাদেশ রাইফেলস, বিডিআর।
২০০৯ সালে পিলখানা ট্যাজেডির পর নতুন নাম হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। দেশের সব আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীতে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ থাকলেও এই বাহিনীতে ছিল না।
সামনে ৮৮তম ব্যাচে সৈনিক পদে নারী সদস্য নেবে বিজিবি। যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তে আশাবাদী বিজিবি মহাপরিচালক।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, যেসব অঞ্চলের সীমান্তে নারীদের দিয়ে চোরাচালান করানো হয় তাদের রোধ করতেই নারী সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে। শুধু চেকপোস্ট নয়, আগামীতে দেশের সব সীমান্তে নারী সদস্যদের দায়িত্ব দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
নারী সদস্যদের নিয়ে আলাদা ব্যাটালিয়ন করার কথাও জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
এদিকে ভারত অনেক আগেই সীমান্তে নারী সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের নারী সীমান্তরক্ষীদের শতভাগ নিরাপত্তা এবং আবাসন সুবিধা দেয়ার কথা ভাবছে বিজিবি।
১১ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম