শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:৪৯:১০

সালাহ উদ্দিনের শারীরিক অবস্থা ভালো নেই

সালাহ উদ্দিনের শারীরিক অবস্থা ভালো নেই

নিউজ ডেস্ক : ভারতের শিলংয়ে নজরদারিতে থাকা বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ মানসিক ও শারীরিকভাবে ভালো নেই। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।

এছাড়া দীর্ঘদিন দেশ ও পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকায় মানসিকভাবে নিরাসক্ত আর বিষন্নও হয়ে পড়েছেন বলেও জানা গেছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ কোরবানির ঈদের সময় শিলংয়ে ছিলেন। এখন ঢাকায় তিনি।

সালাহউদ্দিনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, “উনি ভালো নেই। কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। চিকিৎসা চলছে।”

খুব তাড়াতাড়ি ফের শিলং যাবেন বলেও জানিয়েছেন হাসিনা আহমেদ।

বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে গত ১০ মার্চ উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২ মাস ২ দিন পর গত ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের গলফ লিঙ্ক এলাকা থেকে উদ্ধার হন সালাহউদ্দিন। উদ্ধারের পর প্রথমদিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত ছিলেন বিএনপির এই নেতা। মীমহ্যানস, সিভিল হাসপাতাল ও নেগ্রিমস হাসপাতালে নিবিড় চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেন তিনি। তবে এখনো তার চিকিৎসা চলছে।

গত ৩ মে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬’ এ দায়ের করা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘালয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। চার্জশিটে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারা অনুযায়ী বৈধ ডকুমেন্ট ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। ৫ মে শিলংয়ের আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান তিনি।
হাসিনা আহমেদ জানান, মামলার কার্যক্রম চালানোর জন্য পারিবারিকভাবে এসপি মোহান্তকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আইনগত দিকগুলো দেখছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সালাহউদ্দিন শিলংয়ের একটি ডুপ্লেক্স বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। এতে তিনটি বেডরুম ছাড়াও আছে ড্রইং ও লিভিং রুম। সালাহউদ্দিনের আইনজীবী এসপি মোহান্ত ও শিলংয়ে বসবাসরত কয়েকজন বাংলাদেশি তাকে এ ডুপ্লেক্সটির বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শিলংয়ের বাইরে না যাওয়ার শর্তে জামিন পাওয়া সালাহউদ্দিনের এখন দিন কাটছে অনলাইনে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা, স্থানীয় পত্রপত্রিকা, বিভিন্ন দেশের জার্নাল ও বই পড়ে। তবে সাধারণত বাসা থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া করছেন। বাসাতেই খাবার রান্না হচ্ছে। এছাড়া তিনি যে শিলংয়েই আছেন, তা জানান দিতে সপ্তাহে একদিন আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে।

স্ত্রী হাসিনা আহমেদ এবং কক্সবাজার থেকে যাওয়া নিকট আত্মীয়-স্বজনরাই সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে পালাক্রমে দেখতে যাচ্ছেন। একজনের ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আরেকজন গিয়ে উঠছেন সালাহউদ্দিনের কটেজে।
স্বজনরা ছাড়াও ঢাকা থেকে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও ঈদের আগে সালাহউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
১০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে