শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৫৮:২৯

বিশ্ব প্যালিয়াটিভ কেয়ার দিবস আজ

বিশ্ব প্যালিয়াটিভ কেয়ার দিবস আজ

ঢাকা : বাঁচার আর আশা নেই- চিকিৎসকের এমন পূর্বাভাসে অনেক রোগীকেই স্বজনরা হাসপাতাল থেকে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বাড়ি নিয়ে যান। এরপর জীবনের বাকি দিনগুলো কাটে নিদারুণ যন্ত্রণায়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাটুকু থেকেও বঞ্চিত হতে হয় তাদের। এসব রোগীর পাশে দাঁড়াতে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্ব প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এ বছরও সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হল- অবহেলিত জীবন, অবহেলিত রোগী।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের দ্য ইকোনমিস্টে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পৃথিবীর করুণ মৃত্যুর তালিকায় থাকা ৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৯তম। তালিকায় বাংলাদেশের পর রয়েছে ইরাকের নাম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখ রোগীর প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন। গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনের ৬৭ ধারার ১৯ উপ-ধারায় সব দেশকে অনুরোধ করা হয় জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিতে প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করার জন্য। একই সঙ্গে দেশের আইন এবং নীতিমালায় এ ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধকে সুলভ করার কথা বলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ এখনও নেয়া হয়নি।

যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যু নয় এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দেশে প্রথমবারের মতো ছোট পরিসরে প্যালিয়াটিভ কেয়ার সার্ভিস ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম থেকেই রোটারি ক্লাব অব মেট্রোপলিটন অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সেবা প্রদান করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবল, রোগীদের স্থান সংকুলান ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেন্টারের চিকিৎসক-নার্সদের।

২০১১ সালে বিএসএমএমইউতে এই সেবার উদ্বোধন করেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ২০১৫ সালে এসেও বিএসএমএমইউ ব্যতীত দেশের অন্য কোথাও এর প্রসার ঘটেনি। ঢাকা মেডিকেলে কিছুটা শুরু করলেও তাও সঠিকভাবে চলছে না।
রোগীর জীবনের শেষ দিনগুলো যাতে যন্ত্রণাবিহীন কাটে এ জন্যই প্যালিয়াটিভ কেয়ার ইউনিটটি খোলা হয় বলে জানান বিএসএমএমইউর সেন্টার ফর প্যালিয়াটিভ কেয়ার প্রকল্পের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. নিজামুদ্দিন আহমেদ।
১০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে