শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:১৯:৫৫

খালেদার সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি থাকছে এই প্রস্তাবনা!

খালেদার সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি থাকছে এই প্রস্তাবনা!

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সংবাদ সম্মেলন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং এর কাঠামো বিষয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। খালেদার সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি থাকছে এই প্রস্তাবনা!

কী থাকতে পারে বিএনপি-প্রধানের প্রস্তাবে, তা নিয়ে এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে কিছূ ধারনা পাওয়া গেছে।

খালেদা জিয়া তাঁর প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি করা, বিতর্কমুক্তদের ​কমিশনার হিসেবে নিয়োগ এবং ভোটগ্রহণ, গণনাসহ নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করার আহ্বান জানাবেন। তিনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কোনো ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবেন না। তবে কমিশনারদের যোগ্যতার মাপকাঠি তুলে ধরবেন।

প্রস্তাবটি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন খালেদা জিয়া। একজন নেতা জানান, প্রস্তাবটি ১২ পৃষ্ঠার। এতে সার্চ কমিটি ও নির্বাচনকালীন কমিশনের ভূমিকার বিষয়ে আলোকপাত করবেন খালেদা জিয়া। প্রস্তাবের মূল কথা হচ্ছে, সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা এবং ন্যায়পরায়ণ, বিতর্কমুক্ত, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন গঠন করা।

কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু বর্তমান কমিশন গঠনের আগে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান নিজ উদ্যোগে সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন। বিএনপি চায়, এবারও রাষ্ট্রপতি সে ধরনের উদ্যোগ নেবেন এবং সব কটি রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই সার্চ কমিটি গঠন করবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, দেশপ্রেমিক, সৎ, সবার কাছে শ্রদ্ধাভাজন, বিতর্কমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের কমিশনার করার প্রস্তাব করবেন চেয়ারপারসন। তাঁরা হাইকোর্টের বিচারপতি ছাড়া সাবেক আমলা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক বা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি যে কেউ হতে পারেন।

সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের কমিশনার করার ক্ষেত্রে অন্তত তিন বছর আগে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার শর্ত থাকবে প্রস্তাবে। পাশাপাশি নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যাতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অনুসরণ করে সে জন্য কিছু প্রস্তাব থাকতে পারে। ভোট গণনার সময় যাতে কোনো কারচুপি না হয় সে বিষয়েও প্রস্তাব থাকতে পারে।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এখনো কোনো আইন নেই। সংবিধানে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
১৮ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে