নিউজ ডেস্ক : সংবিধানের ৯৫ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত রিটের আদেশ মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এটি সাংবিধানিক বিষয় হওয়ায় আরো খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ কারণে আদেশ ‘স্ট্যান্ডওভার’ রাখা হলো।
সোমবার প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ শেষে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিচারঙ্গনে ‘দ্বৈত শাসন’ নিয়ে প্রধান বিচারপতির দেয়া বক্তব্য কেন্দ্র করে নানামুখী আলোচনার মধ্যেই সংবিধানের এ দুটি অনুচ্ছেদের সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ গত ৩ নভেম্বর একটি রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনের ওপর রোব ও সোমবার শুনানি করে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তা আবারও পিছিয়ে গেল।
রিট আবেদনকারী ইউনুছ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেকগুলো সাংবিধানিক বিষয় থাকায় আদালত আরো দেখতে চেয়েছেন। তাই আদেশ মুলতবি রাখা হয়েছে। আদালত চাইলে যে কোনো দিন আদেশ দিতে পারেন।’
দু’দিনের শুনানিতে আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ ও যোগ্যতা প্রসঙ্গে বলা আছে। অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি ও শৃংখলার বিষয়ে বলা আছে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে।
গত ৩ নভেম্বর এ দুটি অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টে রিট করেন।
দায়ের করা রিটে ৯৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদ কেন সংবিধানের ৭, ২২, ২৬, ৩১ ও ১০৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারির আবেদন জানানো হয়। স্পিকার, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রারকে এতে বিবাদী করা হয়।
বর্তমান সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে সুপ্রিমকোর্টে বিচারক নিয়োগ ও যোগ্যতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। ৯৫-এর ১ ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ করবেন।
এছাড়া সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃংখলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রযুক্ত হবে।
২২ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম