রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:২৮:৪৭

‘শামিউনের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিয়ে স্ত্রীর শঙ্কা’

‘শামিউনের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিয়ে স্ত্রীর শঙ্কা’

ঢাকা : ঢাকায় এসে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের জন্য সদস্য সংগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিকের কাছ থেকে পুলিশ ঘুষ খেয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডেয়ানে রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে ঢাকায় গ্রেফতার শামিউন রহমানের স্ত্রী ফাতিমা রহমান (২৬)এ অভিযোগ করেছেন।

ফাতিমার অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগে তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রায় এক বছর যাবৎ কোনো অভিযোগ ছাড়াই তাকে বন্দী রাখা হয়েছে।

ফাতিমার অভিযোগ, সাজানো সাক্ষীর ভিত্তিতে শামিউনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফাতিমা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কাছ থেকে তার স্বামীর ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বর্তমানে উত্তর লন্ডনে বাস করছেন ফাতিমা।

ফাতিমা জানান, গত বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে স্বজনদের দেখতে এসে গ্রেফতার হন শামিউন। এরপর রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তার নিরাপত্তার জন্য পরিবার কারা কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে বাধ্য হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ বছর বয়সী শামিউন একজন ক্যাব কন্ট্রোলার। গ্রেফতারের পর থেকে পরিবার ও বন্ধুদের কাউকে তার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয়নি।

‘তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের কথা কেউ শোনেনি, এমনকি তার জামিনের শুনানির সময়ও। তবে তিনি জামিন পাননি,’ বলছিলেন ফাতিমা।

‘আমি এক মিনিটের জন্যও বিশ্বাস করি না যে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন। তিনি ব্রিটিশ নাগরিক তাতে কিছু যায় আসে না। বাংলাদেশ সরকারের জন্য বলা সহজ হয়েছে যে বিদেশ থেকে সন্ত্রাসীরা আসছে। বিদেশিরা এদেশে এসে সন্ত্রাস করছে। এ লোকগুলো নেহায়েতই রাজনৈতিক মতলববাজ। শামিউন সহিংসতা এবং সহিংস লোকদের সাথে একমত নয়। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে তার সম্পর্কের কথা শোনা খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার,’ বলছিলেন ফাতিমা।

গার্ডয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এমনকি তিন ব্রিটিশ নাগরিকের ওপরও নির্যাতন হয়েছে। র্যা ব  নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার জন্য অভিযুক্ত।

শামিউনের আইনজীবী এইচএম নূরে আলম জানান, একাধিকার তার জামিন আবেদন করা হলেও তা মঞ্জুর হয়নি। এমনকি হাইকোর্টও তা গ্রহণ করেনি। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের ছাড়াই তাকে ১০ মাস ধরে বন্দী রাখা হয়েছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, শামিউনকে সহায়তা করছে বাংলাদেশের ব্রিটিশ দূতাবাস। তার পবিরারের সাথেও যোগযোগ রাখা হচ্ছে।
১১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে