রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:৩৯:২০

কুকুরের মুখ থেকে উদ্ধার সেই শিশুটি এখন ছোটমণি নিবাসে

কুকুরের মুখ থেকে উদ্ধার সেই শিশুটি এখন ছোটমণি নিবাসে

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দরের ভেতর জঙ্গলে ফেলে রাখা নবজাতককে উদ্ধারের পর ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।  সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর আজ রোববার সেই নবজাতককে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ছোটমণি নিবাসে হস্তান্তর করা হয়।
 
আজ দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে ছোটমণি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তারের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
শিশুটিকে।
 
এ সময় নবজাতক ও শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লাসহ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ সেপ্টেম্বর পুরাতন বিমানবন্দরের কাছের একটি জঙ্গলে কুকুরে কামড়ানো শিশুটিকে তানিয়া আক্তার ও লিপি আক্তার নামে দুই নারী উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন।  এরপর শিশুটির চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

তিনি বলেন, নবজাতককে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তির পরপরই লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা শুরু করা হয়।  শিশুটির শরীরে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রয়োজনীয় ইনজেকশন ও ওষুধ দেয়া হয়।  জলাতঙ্কের হাত থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন ভ্যাকসিন দেয়া হয়।  শিশুটি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানান তিনি।

সেই এক হৃদয় নাড়া দিয়ে উঠার ঘটনা।  জঙ্গলে ফেলে দেয়া নিষ্পাপ শিশুটিকে যখন কামড়াচ্ছিল তখন পাশেই খেলা করছিল কয়েকটি শিশু।  কুকুরের কামড়ের যন্ত্রণায় নবজাতকটির চিৎকার শুনে শিশুরা এগিয়ে গেলে কুকুরটি পালিয়ে যায়।  

পরে শিশুরা বিষয়টি জানালে জীবিত নবজাতকটিকে উদ্ধার করে জাহানারা বেগম নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা।  নবজাতকটিকে উদ্ধার করে সাথে আরেক মহিলাকে সাথে নিয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা।  এ ঘটনা ঘটে ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে।

জাহানারা বেগম সাংবাদিকদের জানান, দুপুরে শিশুরা ওই জঙ্গলের পাশে খেলা করছিল।  এ সময় একটি কুকুর ওই নবজাতকটিকে কামড়াতে শুরু করলে যন্ত্রণায় কেঁদে ওঠে।  কান্না শুনে পাশে খেলা করা কয়েকটি শিশু এগিয়ে গেলে কুকুরটি পালিয়ে যায়।  পরে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে প্রথমে শিশু হাসপাতালে ও পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।

নবজাতকের নাক, মুখ ও বাম হাতের আঙুল কামড়ে ফেলে কুকুরটি।
১১ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে