শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:২৬:১৮

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি সুপার ইম্পোজ যুবলীগ নেতা বহিষ্কার

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি সুপার ইম্পোজ যুবলীগ নেতা বহিষ্কার

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি সুপার ইম্পোজ করার দায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমানকে দল থেকে
বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে তাকে যুবলীগের চেয়ারম্যান বরাবর কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে।

শুক্রবার যুবলীগের দফতর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১১ আগস্ট থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাকসুদুর রহমানকে বহিষ্কার করা হল। একই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হল।’ উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশে সুপার ইম্পোজ করে তার নিজের ছবি জুড়ে দিয়ে ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় মাকসুদ।

ঢাকা মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি সুপার ইম্পোজিং করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া যায় এই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। তিনি ওই ছবি তার ফেসবুকে আপলোড করেন। ফেসবুকে থাকা ওই ছবি ৪৩টি শেয়ার করা হয়। সুপার ইম্পোজিং করা ছবি দিয়ে পোস্টারিং করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মাকসুদ আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজের সঙ্গে নিজের একটি ছবি সুপার ইম্পোজিং করে ফেসবুকে আপলোড করেন। ফেসবুকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি ছবিটি আপলোড করেন ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। ছবির বিবরণে লেখা হয় ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্তভাবে ঢাকা সিটি যুবলীগ সাউথের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি শেখ মাকসুদুর রহমান মাকসুদ।’

আইটি বিশেষজ্ঞরাও ছবিটি দেখে নিশ্চিত করেন ছবিটি সুপার ইম্পোজিং করা। যে স্থানে মাকসুদের ছবি সেখানে সাদা পাঞ্জাবি পরা অন্য কোনো নেতার ছবি ছিল, যা সরিয়ে বা ঢেকে দিয়ে মাকসুদের ছবি বসানো হয়। সিআইডি ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছবিটি সুপার ইম্পোজিং করা বলে নিশ্চিত হন। সিআইডি জানায়, ছবিটিতে প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যদের ছবিতে এক ফ্ল্যাশ আর মাকসুদের ছবিতে আলাদা ফ্ল্যাশ ব্যবহার রয়েছে। দুটি ছবি তুলতে ক্যামেরার দূরত্বও ছিল ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যদের ছবিটি মাকসুদের ছবির চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট দূর থেকে তোলা। ছবির রেজুলেশন, অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়েও পার্থক্য রয়েছে। এ ব্যাপারে মাকসুদ নিউজটি না ছাপানোর জন্য অনুরোধও করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতেই ছবিটি মাকসুদ তার ফেসবুকের পাতা থেকে মুছে দেন।

যুবলীগের এই নেতার বিরুদ্ধে সচিবালয়ে ব্যাপক তদবিরের অভিযোগ আছে। তাছাড়া নগরীর পুরান ঢাকাসহ ওই এলাকার বিভিন্ন মার্কেটেও ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে