নিউজ ডেস্ক : সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত আইনগুলো সংশোধনের জন্য আগামীকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ডিসেম্বরে পৌরসভার নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগুচ্ছে এবং এরপর সব স্থানীয় নির্বাচনই দলীয়ভাবে করা হবে।
তবে সরকারের এ পরিকল্পনায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলটি মনে করে, স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে দলীয়করণের লক্ষ্যে সরকার এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে করা উচিত কিনা, সেই বিতর্ক একেবারে নতুন নয়।
বর্তমানে এসব নির্বাচন হয় নির্দলীয় ভিত্তিতে অর্থাৎ নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হয় না এবং দলীয় প্রতীকেও এসব নির্বাচন হয় না।
প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন দেয়া না হলেও বাস্তব অবস্থা অবশ্য ভিন্ন। কে কোন দলের প্রার্থী– এটা মোটামুটি সবাই জানেন। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, পুরো বিষয়টি ভোটারদের কাছে খোলাখুলিভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যেই দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারগুলোর নির্বাচন করতে হলে পাঁচটি আইনে সংশোধন আনতে হবে। এসব আইন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদ– ইত্যাদি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তিনি বলেন, সোমবারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হলে রাষ্ট্রপতি এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করবেন। আর আগামী ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন দলীয়ভাবে করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগুচ্ছে বলে তিনি জানান।
তবে সরকারের এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে বিএনপি। দলের ভাইস-চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমদ অভিযোগ করছেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করতেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিএনপি থেকে নির্বাচিত কয়েকজন মেয়রকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার সাম্প্রতিক উদাহরণ টেনে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে বিরোধী দল থেকে নির্বাচিতদের নির্বাহী আদেশে অপসারণের প্রবণতা আরো বাড়বে।
তিনি এও মনে করেন, দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ কমবে। তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে সব দলই সমান সুযোগ পাবে।
দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হলে জনসাধারণের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য হতে পারে বলে অনেকেই এর আগে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মনে করেন যে, এ ধরনের আশঙ্কার কোনো ভিত্তি নেই। সূত্র : বিবিসি
১১ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম