সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:২২:৪৮

সরকারের সামনে পাঁচ চ্যালেঞ্জ

সরকারের সামনে পাঁচ চ্যালেঞ্জ

জাকির হোসেন লিটন : দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার পর জটিল হয়ে ওঠা কূটনৈতিক পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতার অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, শিক্ষকদের লাগাতার আন্দোলন, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এবং সর্বোপরি সরকারদলীয় বিতর্কিত মন্ত্রী-এমপিদের সামলানো নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সরকার। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারের নীতিনির্ধারকদের। পরিস্থিতি সামলাতে সংশ্লিষ্টদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক-আলোচনার পরও কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছে না।

এই ইস্যুগুলোকে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ চ্যালেঞ্জ বলে আখ্যায়িত করলেও কেউ আবার সাময়িক সমস্যা হিসেবে দেখছেন। কেউ আবার সরকারের অবস্থানের বিপক্ষে বক্তব্যও রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশী নাগরিক খুনকে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশ যখনই ভালো কিছু অর্জন করে তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সরকারকে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় যে শক্তি ও কর্মঘণ্টা ব্যয় হয়, তা করতে না হলে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেত।

রাজধানীতে বিদেশী নাগরিক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। যখনই আমরা কোনো কিছু অর্জন করি, তখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়। একটি মহল সরকারের ইমেজ নষ্ট করতে পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটিয়ে আসছে। বিদেশীদের হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে বলে এর আগেও মন্তব্য করেন তিনি।

দেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই প্রধানমন্ত্রীসহ নীতিনির্ধারকরা এমন দাবি করলেও গতকাল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আবার বলেছেন, দেশে ব্যক্তিগত বা বিচ্ছিন্নভাবে আইএস থাকতে পারে। তবে তারা সঙ্ঘবদ্ধ বলে সরকার মনে করে না।

বাংলাদেশে দুই বিদেশী হত্যার পর চরম উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত হয়ে পড়া বিদেশী মিশনের কূটনীতিকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিস্থিতি তুলে ধরে সরকার। তবুও তারা আশ্বস্ত হতে না পারায় প্রয়োজনে আবারো পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের বোঝানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

অন্য দিকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মেডিক্যাল কলেজগুলোয় ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে ভর্তিচ্ছুদের আন্দোলনের পেছনে উসকানিদাতা রয়েছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মেডিক্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। সে জন্য মেডিক্যালের ভর্তি কার্যক্রম চলছে। তাই ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। তবুও থামছে না ভর্তিচ্ছুদের আন্দোলন।

আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাথে শিক্ষামন্ত্রীর দফায় দফায় বৈঠকের পরও নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা।

কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ : মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই বিদেশী নাগরিক খুন হওয়া, আইএসের কথিত দায় স্বীকারের বহুল প্রচার এবং আগাম তথ্যের ভিত্তিতে একের পর এক বিদেশী দূতাবাসের ভ্রমণ সতর্কতা জারির ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জে পড়েছে সরকার। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে চোখে পড়ার মতো তৎপরতা শুরু করেছে প্রভাবশালী কয়েকটি পশ্চিমা রাষ্ট্র। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দুই খুনের ঘটনার ব্যাপক প্রচারে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতার বার্তা পৌঁছে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার আশ্বাসেও আশ্বস্ত করা যাচ্ছে না বিদেশীদের। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরা হলেও সরকারের সংশ্লিষ্টদের ওপর যেন আস্থা রাখতে পারছেন না তারা। সার্বিক পরিস্থিতিতে যেখানে সরকার আশা করছিল রাষ্ট্রগুলো তাদের ভ্রমণ সতর্কতা উঠিয়ে নেবে, সেখানে একের পর এক নতুন করে হামলার শঙ্কা প্রকাশ করে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে বিদেশীদের তরফ থেকে। সর্বশেষ গতকাল হংকংও বাংলাদেশে সফর ও অবস্থানের বিষয়ে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে।

সূত্র জানায়, দুই বিদেশী খুনের পেছনে প্রতিপ রাজনৈতিক দলকে দায়ী করে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের একের পর এক বক্তব্যের খোলামেলা সমালোচনাও করছেন কূটনীতিকরা। বিভিন্ন ঘরোয়া আলোচনায় নিজেদের তিগ্রস্ত উল্লেখ করে পশ্চিমা কূটনীতিকরা বলছেন, সরকার ও শাসক দলের এ ধরনের বক্তব্য খুনের তদন্তকেও রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের একটি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত। এতে তদন্তও প্রভাবিত হতে পারে।

সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে বারবার বাংলাদেশে আইএস নেই বলে দাবি করা হলেও এই ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠনের কানেকশনের কথাই বারবার সামনে আনছে পশ্চিমারা। সরকারের একটি অংশ মনে করছে ভূরাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেই পশ্চিমা প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো এমন অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য থেকেই তারা এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তবে আইএস নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের দিক থেকে দ্বিমুখী বক্তব্যও আসছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নতুন বক্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের সামনে আসা নতুন এ চ্যালেঞ্জ কূটনৈতিক প্রক্রিয়াতেই মোকাবেলা করতে হবে। কোনো রকম ‘ব্লেম গেম’ না খেলে সবার আগে প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে বিদেশীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সম্প্রতি বলেছেন, এটা কোনো সঙ্কট নয়, সাময়িক সমস্যা। আর খুব দ্রুতই এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে বিদেশী কূটনীতিকদের ডেকে আবার কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা হবে।

আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি : সম্প্রতি দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই বিদেশী খুনের রহস্যের কূলকিনারা করতে যেখানে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে, তারই মধ্যে গত সোমবার রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় নিজ বাসায় খুন হন পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান। স্ত্রী-সন্তানদের বেঁধে রেখে তাদের সামনেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে। জনবহুল এলাকায় এমন একটি খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একই দিন সকালে পাবনার ঈশ্বরদীতে খ্রিষ্টান মিশন গির্জার ফাদার লুক সরকারকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বেগুনবাড়ী এলাকায় এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। এর পর দিন কুড়িল বিশ্বরোডের এক বাসায় গণধর্ষণের শিকার হন এক কলেজছাত্রী। এ ছাড়া চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা তো রয়েছেই। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিতে বেশ বিপাকে পড়েছে সরকার। পরিস্থিতি মোকাবেলায় দফায় দফায় বৈঠক করে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

শিক্ষকদের লাগাতার আন্দোলন : পদমর্যাদা ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেও কোনো সুরাহা হয়নি। কর্মবিরতি, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের কাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সাথে একটা হুমকিও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, শিক্ষকদের চাকরির বয়স আমলাদের চেয়েও বেশি; তাই মনে হয় শিক্ষকদের চাকরির সেই বয়সসীমা কমিয়ে দেয়া উচিত। আর, কোন কোন শিক্ষক কোন কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তার হিসাবও আমাদের কাছে আছে।

প্রধানমন্ত্রীর এমন কঠোর মন্তব্যের পরও শিক্ষকরা আন্দোলন থেকে সরে আসেননি। উল্টো শিক্ষকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে যাচ্ছেন তারা। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতাদের সাথে বৈঠক করলেও তা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। বৈঠকে শিক্ষকরা আপাতত পরীক্ষা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে চলতি মাস পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীকে সময়সীমা বেঁধে দেন। না হলে নভেম্বর থেকে আবারো লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন বলে আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষকরা।

মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস : প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্য দিয়েই গত ১৮ সেপ্টেম্বর মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসেন ভর্তি ইচ্ছুকরা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন কর্মকর্তাসহ একাধিক ব্যক্তিকে আটকও করে র‌্যাব। পরে র‌্যাব হেফাজতে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ওই কর্মকর্তা। ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে দেশব্যাপী ভর্তি ইচ্ছুকদের আন্দোলনের মধ্যেই শুরু হয় ভর্তিপ্রক্রিয়া। ভর্তি ইচ্ছুকদের সেই আন্দোলনে যোগ দেন অভিভাবকসহ বিশিষ্ট নাগরিকেরাও।

কিন্তু প্রথম দিকে প্রশ্নপত্রফাঁস নিয়ে মন্ত্রণালয় চুপ থাকলেও সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ভর্তি ইচ্ছুকদের আন্দোলনে উসকানি আছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি এবং পরীক্ষা বাতিলের প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু ভর্তি ইচ্ছুকরা ঝড়, বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের পক্ষে প্রশ্নফাঁসকারীদের রেকর্ডকৃত কথোপকথনসহ নানা প্রমাণ তুলে ধরে পরীক্ষা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

বিতর্কিত মন্ত্রী-এমপিদের সামলানো : গত ২ অক্টোবর ভোরে রাস্তা পারাপারের সময় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সৌরভের পায়ে গুলি করে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেন গাইবান্ধা-১ আসনের সরকারদলীয় এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। এমপি লিটন শুধু গুলি করেই ক্ষান্ত হননি, শিশুটিকে যাতে হাসপাতাল নিতে না পারে সে জন্য অ্যাম্বুলেন্সও আটকে দেন তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে। পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং গতকাল তিনি উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন।

গত ৩০ জুলাই সরকারদলীয় এমপি দবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। জমি ফেরত চাইতে গেলে ওই পরিবারের লোকজনের ওপর এমপির ক্যাডার বাহিনী হামলা করে। এ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় হয়।

গত ৩ জুন ফেনীর সোনাগাজীতে স্থানীয় স্বতন্ত্র এমপি রহিম উল্যাহর বিরুদ্ধে নিজ দলের কর্মী আজিজুল হককে গুলি করে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ওই এমপির কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন। এ ঘটনায় ওই এমপির বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়।

গত ৫ জুন ময়মনসিংহ-৩ আসনের এমপি মুজিবর রহমান ফকিরের নির্দেশে তার ‘এইট্টি বাহিনী’ গৌরীপুর উপজেলার ধুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ও প্রাথমিক শিক সমিতি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাজহারুল আনোয়ারকে চার ঘণ্টা বাথরুমে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

টাঙ্গাইল-৩ আসনের সরকারদলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ছাড়াও রয়েছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ। ফেনীর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামূল হককে হত্যার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে আসে ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর নাম। গত বছরের ১৪ জুন শবেবরাতে রাতে সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা রাজধানীর পল্লবীর কালশী বিহারি পল্লীতে আগুন ধরিয়ে ১০ জনকে হত্যা করে। ওই ঘটনার সাথে ঢাকা-১৭ আসনের এমপি ও পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ।

এভাবে একর পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন এমপি-মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এসব কর্মীকে সামলে সরকারের ইমেজ উদ্ধার এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।-নয়াদিগন্ত
১২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে