বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৪:২৭

বাংলাদেশ থেকে হজ্বে যাওয়ার খরচ কি কমবে?

বাংলাদেশ থেকে হজ্বে যাওয়ার খরচ কি কমবে?

সায়েদুল ইসলাম : দুই এয়ারলাইন্সের একচেটিয়া ব্যবসার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের এক রায়ের পর বাংলাদেশ থেকে হজ্বে যাওয়ার খরচ কি কমবে? বাংলাদেশ বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের বাইরে অন্য যে কোন বিমান সংস্থার মাধ্যমেও হজ্বে যাওয়ার সুযোগ খুলে যাওয়ার পর এক্ষেত্রে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন হজ্ব এজেন্সিগুলো।

কেবল মাত্র এই দুটি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে হজ্বে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায় বহাল রাখে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর আগে হাইকোর্ট এই রায়টি দিয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে এখন থেকে হজ্বে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিরা বাংলাদেশে বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের বাইরে অন্য বিমান সংস্থায় হজে যেতে পারবেন। হজ্ব-যাত্রীরা আগে বিভিন্ন বিমান সংস্থায় করে হজ্বে যেতে পারতেন। কিন্তু ২১০৩ সালে দেশটির ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয় এজন্য দুইটি বিমান সংস্থার মাধ্যমে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দেয়।

সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই ২০১৩ সালের রিট আবেদনে হাইকোর্টের দেয়া রায় আজ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। রিট আবেদনকারীদের অন্যতম, হজ্ব এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের সভাপতি ইকবাল বাহার বলছেন, এর ফলে প্রতিযোগিতা বাড়বে।

"একজন হজ্ব-যাত্রীর হজ্ব করার জন্য ১৫দিন প্রয়োজন। কিন্তু পরিবহন সংক্রান্ত জটিলতার জন্য একজন হজ্ব-যাত্রীকে ৪৫ হতে ৬০ দিন পর্যন্ত থাকতে হয়। এজন্যেই আমরা বলেছি বাংলাদেশ বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি অন্যান্য যেসব এয়ারলাইন্স জেদ্দা এবং মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনা করে তাদেরও যেন সুযোগ দেয়া হয়।"

ইকবাল বাহার মনে করেন, এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়লে বিমান ভাড়াও প্রায় দুশো ডলারের মতো কমে আসবে। এছাড়া অনেক লম্বা সময় ধরে যে হজ্ব যাত্রীদের বসিয়ে রাখা হতো, সেক্ষেত্রেও অবস্থার উন্নতি ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।

গত কয়েকবছর ধরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর যে একলক্ষের বেশি হজ্ব-যাত্রী সৌদি আরবে যান, তাদের অর্ধেক বাংলাদেশ বিমান, বাকি অর্ধেক পরিবহন করে সৌদি এয়ারলাইন্স। অভিযোগ রয়েছে, যাত্রী হয়রানি, ট্রানজিট ভোগান্তি, ইত্যাদি কারণেই ২০১৩ সালে হজ্ব-যাত্রী পরিবহনের জন্য এই দুইটি নির্দিষ্ট বিমান সংস্থা বেধে দিয়েছিল দেশটির ধর্ম-মন্ত্রণালয়।

ফেরদৌস ফয়সাল, যিনি অনেকদিন ধরেই হজ পর্যবেক্ষণ করছেন, তিনি বলছেন, সেই ভোগান্তির বিষয়টি এখনো উড়িয়ে দেয়া যাবে না। তবে ভোগান্তির অভিযোগ নাকচ করে দিলেন হাবের সভাপতি ইকবাল বাহার। বরং তার মতে, দুইটি এয়ারলাইন্সের মনোপলি ভেঙ্গে যাওয়ায় হজের বিমানভাড়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়বে, আর তাই হজ্ব যাত্রীদের সুযোগ সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি খরচও কমবে।

একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলছেন, এটি তাদের জন্যও নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। হজ্ব-যাত্রীদের ক্ষেত্রে এখন সরকারি নির্ধারিত বিমান ভাড়া দেড় হাজার ডলার বা একলাখ কুড়ি হাজার টাকা। হাবের কর্মকর্তাদের আশা, সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলে এই খরচ একলাখ টাকার নীচে নেমে আসবে। বিবিসি বাংলা

৮ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে