মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:১৭:২২

কাঁদলো, কাঁদালো পথশিশুরা

কাঁদলো, কাঁদালো পথশিশুরা

ঢাকা : ওরা পথশিশু।  এসেছিল আগারগাঁও থেকে।  চার কর্মকর্তার জামিন হবে সেই আশায়।  রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকার একটি বাসা থেকে ১০ ছিন্নমূল শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছিল।  ওই ঘটনার মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আজ চার কর্মকর্তার জামিন আবেদন নাকচ করলে পথশিশুরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা জামিন আবেদনের শুনানি শেষে নামঞ্জর করেন।।

এর আগে ঢাকার সিএমএম আদালতে নাকচ হওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ জামিন আবেদন করেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এদিন রাজধানীর আগারগাঁও থেকে অদম্য ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মজার ইস্কুলের’ শিক্ষার্থী পথশিশুরা লাল পোশাক পরে তাদের স্যারদের (চার কর্মকর্তা) জামিন হবে সেই আশায় এসেছিল।  জামিন হলে তাদের কারাফটকে স্বাগত জানাবে।  

জামিন না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারি ও মামলার আসামি জাকিয়া বেগমের জন্য ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে পথশিশু শারমিন, আনিকা ও রানীরা।  তাদের কান্না দেখে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের ভিড় জমে যায়।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনের খোলা চত্বরে কান্না থামাতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের ছোট বোন লাবনী তাদের বুকে টেনে নেন।  এসময় বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা নারীকে চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে।

ওই পথশিশুদের সঙ্গে এসেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের ছোট বোন লাবনী ও তাদের সত্তরোর্ধ নানা এবং সেক্রেটারি জাকিয়া সুলতানার মা মজিদা বেগম (৪২)।

আাদালতের বাইরে বটগাছের নিচে তিনিও কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা যাচ্ছিলেন। বারবার আল্লাহর উদ্দেশ্যে তিনি বলছিলেন, ‌‘আমার মেয়ে তো দোষ করে নাই। আল্লাহ তুমিতো জান, সে কারো ক্ষতি করে নাই।  সে মানুষের সেবা করছে।  হে আল্লাহ, তুমি আমার মেয়েকে বুকে ফিরায়ে দাও।’

গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ মামলায় জেলহাজতে আছেন প্রতিষ্ঠানটির চার কর্মকর্তা আরিফুর রহমান (২৪), হাসিবুল হাসান সবুজ (১৯), জাকিয়া সুলতানা (২২) ও ফিরোজ আলম খান শুভ (২১)।  এদের মধ্যে আরিফুর রহমান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং জাকিয়া সুলতানা সাধারণ সম্পাদক।

প্রসঙ্গ, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকার একটি বাসা থেকে একটি নতুন বেসরকারি সংস্থা অদম্য ফাউন্ডেশনের শেলটারহোম থেকে ১০ ছিন্নমূল শিশুকে উদ্ধার করা হয়।  ওই ঘটনায় চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে রামপুরা থানা পুলিশ।  এরপর তাদের দুদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
১৩ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে