বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭, ০৮:৩৩:৫৩

ড. ইউনূস রীতিমতো ধোঁকা দিয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী

ড. ইউনূস রীতিমতো ধোঁকা দিয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : গরিবদের কথা বলে গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নেয়। কথা ছিল এর লভাংশ গ্রামীণ ব্যাংকে যাবে। কিন্তু কোনো লভ্যাংশ যায়নি। আমি বলব, এটা একটা চিটিং ছাড়া আর কিছুই না। রীতিমতো ধোঁকা দেয়া হয়েছে। এখন ওটা উনার (ড. ইউনূস) নিজস্ব সম্পত্তি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির এমপি একে এম মাইদুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূস নিয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা দেন তিনি।

গ্রামীণফোন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এর ৩০ ভাগ মালিকানা তার হাতে আছে। বাকিটা বেচে দিয়েছেন। শুনেছি কাউকে কাউকে কোন কোন ফাউন্ডেশনে বহু টাকা-পয়সা দিয়েছেন। এ রকম বহু কথা শোনা যায়।

তিনি আরও বলেন, ’৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তিনি (ড. ইউনূস) প্রায়ই আমার অফিসে আসতেন। আমাকে বলতেন তাকে যেন একটি টেলিফোনের লাইসেন্স দেয়া হয়। অর্থাৎ গ্রামীণফোনের লাইসেন্স দিলে এই কোম্পানির যে লভ্যাংশ আসবে তা গ্রামীণ ব্যাংকে যাবে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের এই টাকা সাধারণ মানুষ পাবে। তারা ঋণ সুবিধা পাবে। তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকটা দাঁড়াবে। আমি উনার কথা বিশ্বাস করলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন আগে একটা মাত্র ব্যক্তির ছিল, যিনি বিএনপির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি একাই ব্যবসা করতেন। আমরা চাইলাম মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দিলাম। সেখানে গ্রামীণফোন টেন্ডারে তৃতীয় স্থানে ছিল। তার লাইসেন্স পাওয়ার কথা নয়। তবুও আমরা তাকে লাইসেন্স দিলাম ব্যবসা করার জন্য। তবে অত্যন্ত দুঃখের কথা গ্রামীণফোনে বাংলাদেশ অংশে যে শেয়ার থাকার কথা তার অধিকাংশ শেয়ার উনি বিক্রি করে দিয়ে এখন ওটাকে উনার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সম্পত্তি করে নিয়েছেন। এখন আর একটা ব্যবসা শুরু করেছেন। উনাদের প্রচুর টাকা। এই টাকাটা গরিব-দুঃখী মানুষের, যেটির কথা মাননীয় সংসদ সদস্য বললেন।

শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে সুদের হার অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। তিনি ওই ব্যাংকের এমডি ছিলেন। গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে আছে ৬০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবেন। কিন্তু এমডি সাহেব যখন ৭০ বছর পার করে ফেলেছেন তখনও তিনি এমডি। আইন অনুযায়ী এমডি থাকতে পারেন না। তিনি সে কথা না মেনে আদালতে চলে গেলেন।

২৫ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে