ঢাকা : সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরের হারাম শরিফে ক্রেন ভেঙে পড়ার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি নেই। মক্কার শিশা মুয়াইসিমে (লাশ রাখার হিমঘর) প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের আঘাত সামান্য।
দুর্ঘটনার পর মসজিদুল হারাম ও তার আশপাশের এলাকা ও হাসপাতালের কাছে মোবাইল নেটওয়ার্ক (জ্যামার দিয়ে) বন্ধ ছিল। ফলে টিভিতে খবর দেখার পর দেশ থেকে অনেকেই হজ করতে আসা প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে মক্কায় বাদশা আবদুল আজিজ হাসপাতাল ও আল নূর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশি যারা ভর্তি আছেন, তারা সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা জানিয়েছেন দুর্ঘটনার পরে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে লোকজন আহত হয়েছে বেশি। তারা বলেন, বৃষ্টির কারণে মেঝে পিচ্ছিল থাকায় অনেকে দৌড় দিতে গিয়ে পড়ে আঘাত পান।
মক্কার কয়েকজন প্রবাসী জানালেন, ২০০৪ সালে টানেলে অনেক হজযাত্রী মারা গিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে মক্কায় ভবন ধসে ও মিনায় জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করতে গিয়ে মানুষ মরেছিল। সেই সব ঘটনার পর ওই সব এলাকায় সতর্কমূলক নানা ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এবার মসজিদুল হারামের ক্রেন ভেঙে পড়ার ঘটনার পর আরও সতর্ক হবে কর্তৃপক্ষ।
ফোন নম্বর:
মো. জহিরুল ইসলাম, কনসাল (হজ), বাংলাদেশ হজ অফিস: +৯৬৬(০)৫০৪৩২১৫২৭ এবং মো. আলতাফ হোসেন, প্রথম সচিব (শ্রম), বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল: +৯৬৬(০)৫৩৪৪৫৫৭১৬।
সৌদির সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ শুক্রবারের (১১ সেপ্টেম্বর) এ দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১০৭ জন নিহত এবং ২৩৮ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্ঘটনায় এতো মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে সৌদি বাদশাহ ও নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং আহতদের প্রতি শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। রপররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে শোক বার্তা পাঠিয়েছেন।-সূত্র: এএফপি
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে