নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে, বাসের ভেতরে হিজড়া কর্তৃক সৃষ্ট চাঁদাবাজি দমনে সরকারের দৃষ্টি রয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার গুরুমাতাগণের সমন্বয়ে এসব সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া এসব সামাজিক আনাচার বা গণ-উপদ্রব দমনে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। সরকারি দলের এমপি ইস্রাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশে বেদে, হিজড়া ও হরিজন সম্প্রদায়ের পরিসংখ্যানগত কোনো জরিপ হয়নি। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী ৭৫ হাজার ৭০২ জন বেদে, ১০ হাজার ১৩৯ জন হিজড়া এবং ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জন হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন রয়েছে। প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১৫ লাখ ৯ হাজার ৭১৬ জন।
তিনি জানান, স্কুলগামী বেদে, হিজড়া ও হরিজন শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৪ স্তরে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। ৫০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের অক্ষম ও অসচ্ছল হিজড়াদের বয়স্কভাতা/বিশেষ ভাতা মাসিক ৬শ’ টাকা এবং বেদে ও হরিজনদের মাসিক ৫শ’ টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতি জেলায় ৫০ জনকে ৫০ দিনের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের সমাজের মূল স্রোতধারায় আনা হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অসহায় শিশু-কিশোরদের হয়রানি, নির্যাতন এবং দুর্নীতির বিষয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী সমাজের কল্যাণে কাজ করেন। এ ক্ষেত্রে কোন কোন প্রতিষ্ঠান সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না, দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কিংবা নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। খুব অল্পদিনের মধ্যে এসব বন্ধ হবে, যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমজমিন
২৭ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসবি