নিউজ ডেস্ক : সংলাপে অংশ নেয়া নিবন্ধিত ৩১ রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য নাম চেয়ে চিঠি দিয়েছে সার্চ কমিটি। গত শনিবার সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের পরপরই এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকার গঠন ও রাষ্ট্রাচার অধিশাখার উপ-সচিব মো. নাজমুল হুদা সিদ্দিকীর স্বাক্ষরে এ চিঠি পাঠানো হয়।
ওই চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য পাঁচটি করে নাম চাওয়া হয়। যার স্মারক নং- ০৪.০০.০০০০.৪২১.৫৩.০৪৪.১৭.৩। চিঠিতে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য অনুসন্ধান কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নের লক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্তসহ অনধিক পাঁচটি নাম আগামী ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর দপ্তরে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা জমা দেয়নি। তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিবকে ফিরতি একটি চিঠি দিয়েছে। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, নাম জমা দেয়া রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়। রাজনৈতিক দলগুলো নাম জমা দিলে সেসব নাম নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে। তখন বিতর্ক আরো বাড়বে।
এর ফলে নির্বাচন কমিশনের জন্য দক্ষ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সার্বিক বিবেচনায় নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অনুসন্ধান কমিটির কাছে সিপিবি কোনো নাম জমা দেবে না। এর আগে গত ২৫শে জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে ছয় সদস্যের ‘সার্চ কমিটি’ গঠন করে সরকার। এ কমিটির প্রধান করা হয় আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে।
সার্চ কমিটিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য শিরীন আখতারকে সদস্য করা হয়। এই সার্চ কমিটি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ জমা দেবে। উল্লেখ্য, একজন কমিশনার (মো. শাহ নেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ই ফেব্রুয়ারি)। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য তিন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি। এমজমিন
২৯ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসবি