নিউজ ডেস্ক: ফেসবুকে ভয়ঙ্কর ফাঁদ। ছদ্মবেশী প্রতারকের সেই ফাঁদে আটকে ঘটছে নানা সর্বনাশ। মার্জিত ছবি ও আকর্ষণীয় পরিচিতির আড়ালে ওরা টার্গেট করছে নারীদের। কেড়ে নিচ্ছে সম্ভ্রম।
শুরুটা একেবারে সাদামাটা। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। সরল বিশ্বাসে নারীরা তা এক্সসেপ্ট করছে। তারপর বন্ধুত্ব। এভাবে বেড়ে চলছে ফেসবুক ফ্রেন্ড। কিন্তু কখনো কখনো তা এখানেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। লাইক, শেয়ার, কমেন্ট, পোস্ট ও চ্যাটে আকর্ষণ করছে নারীদের। প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে কিশোরী বা তরুণী থেকে শুরু করে মধ্য বয়সী নারীদেরও। সাক্ষাতের নামে গড়ে তুলছে ঘনিষ্ঠতা বা সম্পর্ক। ফাঁদ পাতছে প্রেমের। সুযোগ বুঝে জিম্মি করছে সহজ-সরল নারীকে। একদিন উন্মোচিত হচ্ছে ভদ্রতার মুখোশ। ততদিনে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া সকল পথই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বরণ করতে হচ্ছে সম্ভ্রম হানির নির্মম পরিণতি। পৈশাচিক নির্যাতন। কখনো প্রথম সাক্ষাতেই...হচ্ছে অসহায় নারী। এখন প্রায় প্রতি মাসেই দেশে এভাবে... ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ না কেউ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইম্যান অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারপারসন তানিয়া হক বলেন, কিছুদিন আগেও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ফেসবুকের পরিচয়ের পর নারীর সম্ভ্রম হানির ঘটনা ঘটতে দেখেছি। এখন আমাদের দেশে তা প্রায়ই ঘটছে। তিনি বলেন, এখনই চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স বা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা না করা গেলে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে এটি। গ্লোবালাইজেশনের এ যুগে টেকনোলজির ভালো দিকের চেয়ে খারাপ দিকটাই বেশি ব্যবহার হচ্ছে। সন্তানদের ফেসবুক ব্যবহারে মা-বাবারও সচেতন হওয়া উচিত। আর ছেলেদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে নারীদের সম্মান দিতে শেখে।-এমজমিন
১৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস