সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৩১:৫১

খালেদা জিয়ার সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি

খালেদা জিয়ার সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি

নিউজ ডেস্ক : খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় বিএনপিএ বছরের শেষের দিকে শুরু হওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি যাবে কিনা, পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ কীভাবে চলবে, জাতীয় কাউন্সিল কখন এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন কবে এমন অনেক সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এ বছরের শেষের দিকে শুরু হওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি যাবে কিনা, পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ কীভাবে চলবে, জাতীয় কাউন্সিল কখন এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন কবে এমন অনেক সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। বিএনপি সূত্রগুলো বলছে, তৃণমূল বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। দলের অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ নেতাও মনে করেন, এ নির্বাচনে না গেলে মাঠ পর্যায়ে বিএনপি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে হঠাৎ কেন ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন- এ নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে দলের নেতাদের। গত ১২ অক্টোবর স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে পৌরসভা ও মার্চে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জানিয়েছে। সরকারের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বলে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর বর্তমান সরকারের নৈতিক ভিত্তি যখন প্রশ্নবিদ্ধ, সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচনের দাবি যখন সব মহলের, তখন সে দাবিকে পাশ কাটিয়ে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজনের পেছনে সরকারের উদ্দেশ্য মহাদুরভিসন্ধিমূলক। সরকার প্রধানত তিনটি কারণে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। প্রথমত জাতীয় নির্বাচনের দাবিকে ধামাচাপা দেওয়া, দ্বিতীয়ত আন্দোলন দমনে তৃণমূলেও দলীয় নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত এবং তৃতীয়ত যে কোনো উপায়ে নির্বাচনের ফল অনুকূলে নিয়ে দেশে-বিদেশে সরকারের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করা। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান বলেন, খালেদা জিয়া দেশে ফিরলে দলীয় ফোরামে বৈঠক করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা গেছে, বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় মোটামুটি সন্তুষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ইতোমধ্যে ৪৫টি জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি গঠন যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাকি ২০টি জেলার মধ্যে ১০টির বেশি জেলায় কাজ শুরুই হয়নি। বাকিগুলোর অগ্রগতি খুবই কম। এ অবস্থায় পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কীভবে এগোবে, যেসব জেলায় কাজ হয়নি সেগুলো ভেঙে দেওয়া হবে কিনা এবং কোন্দলপূর্ণ জেলায় কমিটি গঠন হবে কীভাবে এসব সিদ্ধান্ত নিতেও খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় আছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল করতে চায় দলটি। বিষয়টি নিয়ে লন্ডনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন খালেদা জিয়া। দেশে ফিরলে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এবারের জাতীয় কাউন্সিল দলটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কাউন্সিলে দলটি একজন পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব পাবে। শুধু তা-ই নয়, দলে ব্যাপক পরিবর্তনের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে নতুন অনেক মুখ দেখা যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে। দলের মহাসচিব কে হচ্ছেন, স্থায়ী কমিটি ও যুগ্ম মহাসচিব পদে কারা আসছেন- সব সিদ্ধান্ত জানা যাবে কাউন্সিলে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, লন্ডনে কমিটি গঠনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। কিন্তু কী হয়েছে, তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তাদের আশা, যা-ই হোক, নতুন কমিটি হলেই তারা খুশি। জানতে চাইলে এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রতিবেদককে বলেন, খালেদা জিয়া লন্ডনে গেছেন, সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনায় কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হতেই পারে। লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশে ফিরলেই সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটবে।-দৈনিক আমাদের সময় ১৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে