সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:৩৮:১৭

সরকারের তীব্র প্রতিক্রিয়া সুর পাল্টেছে যুক্তরাষ্ট্র

সরকারের তীব্র প্রতিক্রিয়া সুর পাল্টেছে যুক্তরাষ্ট্র

কূটনৈতিক : যুক্তরাষ্ট্র আবারও বাংলাদেশে পশ্চিমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা ব্যক্ত করে নতুন সতর্কতা জারি করায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সরকার। তিনজন মন্ত্রী রোববার যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কড়া সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তিদায়ক হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া জিএসপি তালিকার দিকে তাকালেই দেখা যায়, মাত্র দুটি দেশকে বাদ দিয়েছে তারা- একটি রাশিয়া, অন্যটি বাংলাদেশ।' বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কাকে বাড়াবাড়ি বলে মন্তব্য করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, 'দেশ যখন মধ্যম আয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের রেড অ্যালার্ট জারি দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রেরই অংশ।' আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দাবি করেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের হালনাগাদ বার্তার মধ্যে নতুন কিছু নেই। পরিস্থিতি বর্তমানে সরকারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গত শনিবার নতুন হামলার আশঙ্কা ও সতর্কতা জারি করলেও রোববার সুর পাল্টে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট রোববার বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি। শুধু আগের বার্তাটি হালনাগাদ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।' যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ন্যান্সি ভ্যানহর্নও প্রতিবেদককে বলেন, নতুন নয়, বরং বিদ্যমান পুরনো ঝুঁকির বিষয়ে তথ্যের ভিত্তিতেই আমেরিকানদের নিরাপত্তা বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গত শনিবার তাদের নাগরিকদের জন্য হালনাগাদ নিরাপত্তা বার্তায় পশ্চিমাদের ওপর নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকির কথা জানায় এবং এ দেশে অবস্থানকারী আমেরিকানদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়। বার্তায় আরো বলা হয়, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দুই বিদেশি হত্যার দায় স্বীকার করেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিদেশিদের নিরাপত্তায় অসাধারণ উদ্যোগ নিলেও এখনো হামলার বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তব ঝুঁকি রয়েছে। বার্তায় নতুন ঝুঁকির ইঙ্গিত নেই বিদ্যমান পুরনো ঝুঁকির বিষয়ে তথ্যের ভিত্তিতেই আমেরিকানদের নিরাপত্তা বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস- রোববার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ন্যান্সি ভ্যানহর্ন এই প্রতিবেদককে এ কথা জানিয়ে বলেন, দুই বিদেশি হত্যার পর কয়েক সপ্তাহ ধরে অসাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল রাখায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশ সরকার ও বিশেষ করে বাংলাদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। ন্যান্সি ভ্যানহর্ন বলেন, 'বাংলাদেশে বসবাসকারী ও ভ্রমণকারী বিদেশিদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগের আমরা প্রশংসা করি। বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার ও বাংলাদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কল্যাণে বাংলাদেশে বসবাসকারী বা ভ্রমণকারী বিদেশিদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।' ন্যান্সি ভ্যানহর্ন বলেন, 'এ সপ্তাহান্তে নিরাপত্তা বার্তাগুলো প্রদানের উদ্দেশ্য ছিল সাবধানতা অবলম্বন অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উৎসাহ দেওয়া। বিদ্যমান আসল ঝুঁকির বিষয়ে তথ্যের ভিত্তিতে ওই বার্তাগুলো দেওয়া হয়েছিল এবং সেখানে নতুন কোনো ঝুঁকির ইঙ্গিত নেই।' এদিকে ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে রোববার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী যে সহযোগিতা করছে তা সত্যিই সন্তোষজনক। আইএসের কথিত দায় স্বীকারের বার্তাগুলো বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এবং খুনিদের ধরতে অগ্রগতি হয়েছে- পুলিশের এমন বক্তব্যের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে বলেছেন যে সন্ত্রাসের কোনো দেশ ও ধর্ম নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ ধরনের আহ্বানে সাড়া দিতে প্রস্তুত। রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্বনির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের হালনাগাদ নিরাপত্তা বার্তা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা এখানে নতুন কিছু দেখছি না।' একজন সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওই বার্তাটির অংশবিশেষ পড়ে জানতে চান, এখানে কি অতীতের চেয়ে জোরালো শব্দ ব্যবহার করা হয়নি? জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এ রকম তো কিছু এর মধ্যে মনে হয় না। আমার মনে হয় না এখানে আগের চেয়ে বেশি কিছু আছে।' আরো একজন সাংবাদিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বলে যাচ্ছে যে আইএস দুই বিদেশি হত্যার দায় স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা ওই দাবির সত্যতা যাচাই করছে। তারা কি সত্যতা যাচাই করে সরকারকে জানিয়েছে? জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা যে কথা বলছে সেটা তো তারাই উত্তর দিতে পারে। ওদের উত্তর তো আমরা দিতে পারি না। খতিয়ে দেখবে বলছে। বের করেন আপনারা, কী খতিয়ে দেখল। এটা আমরা কিভাবে বলব?' পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'সরকার তৈরি। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সব কিছুই তো চলছে ঠিকমতো।' বিদেশিদের ধারাবাহিক 'অ্যালার্ট'গুলো পশ্চিমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির লক্ষণ কি না জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, 'এটা মোটেও নয়। আমাদের সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং তাদের দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কের নিদর্শন দেখছেন। বাংলাদেশকে গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে। এর আগে এলডিসির সভাপতি করা হয়েছে।' যুক্তরাষ্ট্রের নীতি স্বস্তিদায়ক নয় : অর্থমন্ত্রী জাতিসংঘের অধিবেশন থেকে শুরু করে পেরুতে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা- সর্বত্রই বাংলাদেশ নন্দিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কারণে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। আগের মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া বিভিন্ন নীতি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তিদায়ক হচ্ছে না বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া জিএসপি তালিকাটার দিকে তাকান, মাত্র দুটি দেশকে বাদ দিয়েছে- একটি রাশিয়া, অন্যটি বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা শেষে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী। সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবের এভাবেই সমালোচনা করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানও উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় ও রংপুরে দুই বিদেশি নাগরিক খুন হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা সর্বোচ্চ সতর্কতার সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'মানুষ হত্যা এবং বিশেষ করে সিটিতে হত্যা- এটা সব দেশেরই সমস্যা। নিউ ইয়র্কে বছরে কতজন বাংলাদেশি খুন হচ্ছে? দুনিয়ার সব দেশেই নিরাপত্তা শঙ্কা রয়েছে। কিন্তু সাত বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এমনই। এখন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চমৎকার। তাদের উদ্বেগ নিয়ে এত হইচই করার কিছু নেই।' হামলার আশঙ্কা বাড়াবাড়ি : বাণিজ্যমন্ত্রী রোববার সকালে বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা বাড়াবাড়ি। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে সতর্কতা জারির সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিত রেড অ্যালার্ট জারির মতো নয়। দেশের বিরুদ্ধে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, দেশ যখন মধ্যম আয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এ ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের রেড অ্যালার্ট জারি দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রেরই অংশ। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এমন কিছু হয়নি যে মনে করার অবকাশ আছে- দেশ নিরাপত্তাহীন হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলার আগে বলব, ষড়যন্ত্র সব সময় হচ্ছে। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখনই নানা ধরনের বাধার সৃষ্টি চলছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি রয়েছে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ সজাগ রয়েছে।' এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তথ্যের উৎস দেয়নি। এসব বিষয় নিয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ফাঁকফোকর আছে কি না দেখেছি। বিদেশিরা যাতে কোনো অসুবিধায় না পড়ে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সামনের দুটি উৎসবেই যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।' মার্কিন সতর্কতার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'তারা তথ্যের ভিত্তিগুলো জানায়নি। জানালে আরো ব্যবস্থা নিতাম। এর আগে জানিয়েছিল, ভিআইপি কিংবা কোনো হোটেলে নাশকতা হতে পারে। পরে দেখলাম, দুই বিদেশি ভদ্রলোক নিহত হলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ের এক অনুষ্ঠানে ২০টা দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা আসছেন। সেটা যেন সুন্দরমতো হতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ দেশে বিদেশি আসার ফ্লো কমেনি বরং বেড়েছে। বিদেশিরা ভীত নয়।' যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা এসব সতর্কতার কোনো ভিত্তি আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'ভিত্তিহীন বলে দেখছি না। বিদেশি হত্যা করে কী ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আপনারা বুঝতে পারছেন। জাপানের নাগরিক বাংলাদেশকে ভালোবাসত। এ কারণে তিনি মুসলিম হয়েছিলেন। আইএসের কথা বলা হয়, কিন্তু আইএস বলে তো এ দেশে কিছু নেই। সবই ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ড। যাতে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়, সরকার বিব্রত হয়- এ কারণে এসব করা হচ্ছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ব্যর্থ কি না প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, 'গোয়েন্দারা ব্যর্থ নয়। গোয়েন্দারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।-কালের কণ্ঠ ১৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে