সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:০৬:০২

সময় ভুলের মাসুল দেবে কে?

সময় ভুলের মাসুল দেবে কে?

ঢাকা : বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর মা ইলিশ। ধরা পড়া ইলিশের ৭০ ভাগের পেটেই ডিম রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা। তাই প্রজনন মৌসুমের সময় নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সচেতন নাগরিকদের মতে, প্রজনন মৌসুমের সময় ১৫ দিন পেছানো হলে আরও বেশি ইলিশ ডিম ছাড়তে পারত। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, জলবায়ুর প্রভাবে ইলিশ ধরার মৌসুম এবার জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে পিছিয়ে আষাঢ়ের শেষের দিক থেকে শুরু হয়েছে। এ হিসাব অনুযায়ী শেষ কার্তিক পর্যন্ত ইলিশের দেখা মিলবে বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন জেলেরা। এ বছর বৈরী আবহাওয়া, জলদস্যু ও ডাকাত উপদ্রব আর ভরা মৌসুমেও ইলিশের তেমন দেখা না মেলায় জেলেরা অপেক্ষায় ছিলেন। এরই মধ্যে গত ১০ থেকে ২৪ আশ্বিন পর্যন্ত দুই সপ্তাহে ইলিশের প্রজনন মৌসুম বলে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বলবত ছিল। নিষেধাজ্ঞার সময় পার হওয়ার পরে মঙ্গলবার থেকে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে ইলিশ মাছের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাউফলের ধুলিয়া থেকে নগরীর পাইকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ বিক্রি করতে আসা জেলে বাবুল মিয়া বলেন, বর্তমানে যেসব ইলিশ ধরা পড়ছে তার প্রায় প্রতিটির পেটেই ডিম পাওয়া যাচ্ছে। ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়ের আগেই প্রজনন মৌসুম ঘোষণা করায় সব মাছ ডিম ছাড়তে পারেনি বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বরিশাল মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে ইলিশ মাছ কাটার শ্রমিক লিটন হাওলাদার বলেন, আমি যতগুলো ইলিশ মাছ কেটেছি তার মধ্যে ৭০ ভাগের পেটেই ডিম পেয়েছি। জেলেরা জানান, বুধবার নগরীর এ মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে প্রায় এক হাজার মণ ইলিশ এসেছে। জেলা মৎস্য আড়তদার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত কান্তি দাস অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে ইলিশের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা সে সময় মাছ না ধরায় ভারতীয় জেলেদের জালে এবার ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে। কারণ বাংলাদেশী জেলেরা মাছ না ধরার কারণে ওই ইলিশগুলোর একটি অংশ চালনার খাড়ি দিয়ে ভারতের সমুদ্র সীমানায় চলে গেছে। প্রজনন মৌসুমের সময় পেছানো নিয়ে জেলে এবং মাছ ব্যবসায়ীদের অভিমতের বিষয়ে ইলিশ গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। ১৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে