সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:৪৮:৩১

‘গণশুনানিতে বাস স্টপেজে ভাড়ার তালিকা ঝুলানোর দাবি’

‘গণশুনানিতে বাস স্টপেজে ভাড়ার তালিকা ঝুলানোর দাবি’

ঢাকা : গণপরিবহনে চলমান ভাড়া নৈরাজ্যরোধে প্রত্যেক বাস স্টপেজে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা বিলবোর্ড আকারে টাঙানোর দাবি বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ আবুল মকসুদ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার দুপুরে গণপরিবহনে চলমান ভাড়া নৈরাজ্য বিষয়ক গণশুনানি চলাকালে সরকারের কাছে এ দাবি জানান তিনি। সকাল থেকে বাসের সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে বাসভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যের অভিযোগ শুনেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির নেতারা। গণশুনানিতে বাস ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করেন হেনা বেগম। তিনি এয়ারপোর্ট থেকে পল্টন এসেছেন। তার কাছ থেকে ৩৫ টাকা ভাড়া নেয়া হয়েছে। আগে তিনি একই রুটে একই জায়গায় আসতেন ২৫ টাকায়। অভিযোগ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল, চাকরিজীবী আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। শিক্ষার্থী নাজমুলের অভিযোগ, ‘ছাত্রদের বাসে তোলা হয় না। এতে বিকেলে তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’ কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘১০ দিন যাবত সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সরকার অযৌক্তিকভাবে যতটুকু ভাড়া বাড়িয়েছে তার চেয়ে বেশি ভাড়া পরিবহনগুলোতে আদায় করা হচ্ছে। আগে যাদের মাসে দেড় হাজার টাকা পরিবহন খরচ হতো এখন তাদের আড়াই হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এতে করে স্বল্পবিত্ত ও শ্রমিকশ্রেণির জীবন-যাপন আরও কঠিন হয়ে পড়বে।’ গণপরিবহনে চলমান ভাড়া নৈরাজ্যরোধে প্রত্যেক বাস স্টপেজে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা বিলবোর্ড আকারে টাঙানোর দাবি জানান তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবু মুহম্মদ বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে গ্যাস ও তেলের দাম বাড়ানোর কারণেই এ ভাড়া নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। সরকার যে পরিমাণ ভাড়া বাড়িয়েছে তার চেয় বেশি ভাড়া আদায় করছে বাস মালিকরা। এর কারণ বেশির ভাগ বাসের মালিক সরকার সংশ্লিষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি গণপরিবহনগুলোতে বাসের হেলপারদের কাছ থেকে নারী ও শিক্ষার্থী বিদ্বেষী আচরণের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে কি নারী ও শিক্ষার্থীরা বাসে উঠবে না। এটা সরকারের ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণে হচ্ছে। এ সব থামানোর জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রত্যেক বাস স্টপেজে সরকার নির্ধারিত ভাড়া টাঙাতে হবে।’ দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন গণপরিবহনে যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ আসছে। এটা কাম্য নয়। অনেক জায়গায় মোবাইল কোর্টের ওপরও হামলা হচ্ছে। গাড়ি বন্ধ রাখা হচ্ছে। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’ নৈরাজ্যরোধে সরকারের কাছে তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পুনর্র্নিধারণের দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া অযৌক্তিকভাবে গ্যাস ও তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আদালতে যাওয়ারও চিন্তার কথা জানিয়েছেন গণশুনানিতে অংশ নেয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান। গণশুনানীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ। ১৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে