মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:৩৮:৩১

৪ দেশের গাড়ি চলাচলে কার কত ফি ?

৪ দেশের গাড়ি চলাচলে কার কত ফি  ?

তাওহীদুল ইসলাম : দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে গাড়ি চলাচল শুরু হচ্ছে। এ জন্য সড়ক ব্যবহার ও রুট পারমিটের ফি নির্ধারণের প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রতি টন পণ্য পরিবহনে কিলোমিটারপ্রতি ২.০৩৭ পয়সা ট্রানজিট ফি চাইছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। আর বিআরটিএ বলছে, ভারতের পণ্যবাহী মোটরযানকে রুট চার্জ দিতে হবে ২ হাজার টাকা। নেপাল ও ভুটানের ক্ষেত্রে এ হার হবে ১ হাজার টাকা। সওজের প্রস্তাবটি এরই মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ট্রানজিট-বিষয়ক কোর কমিটির সুপারিশ ছিল প্রতি টন পণ্য পরিবহনে কিলোমিটার প্রতি ৪.২৫২৮ টাকা চার্জ আদায়ের। আর যানবাহন প্রবেশ ফি বাবদ রুট চার্জ ২ হাজার ৩২৩ টাকা আদায়ের প্রস্তাব করে কোর কমিটি। সওজের প্রস্তাবে বলা হয়, বিবিআইএনের আওতায় বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারে ভারত, নেপাল ও ভুটানের পণ্য পরিবহনে তিন ধরনের চার্জ আরোপ করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে সড়কের ক্ষয়ক্ষতিজনিত চার্জ, বায়ু ও ও শব্দদূষণ চার্জ এবং কনজেশন (সড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ) চার্জ। সব মিলিয়ে ২.০৩৭ টাকা চার্জ আরোপ করা যেতে পারে। প্রতি ২০ টন এবং ৫০ কিলোমিটারে তা ২ হাজার ৩৭ টাকা। বিকল্প আরেকটি প্রস্তাবও দিয়েছে সওজ। এ ক্ষেত্রে উল্লিখিত তিন চার্জের সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়ন চার্জ কিলোমিটারপ্রতি টনে আরও ১ টাকা যোগ করা হয়েছে। তবে অবকাঠামো উন্নয়ন চার্জ আরোপ করা হবে কিনা, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। এদিকে বিআরটিএ সূত্র জানায়, বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রুটে বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। এগুলো নিজ নিজ দেশে নিবন্ধিত ও উভয় দেশের মধ্যে চলাচলের চুক্তি অনুসারিত। এসব বাসের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের রুট পারমিট চার্জ প্রযোজ্য নয়। তাই বিবিআইএনের আওতায় যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চালু করা হলেও তা চার্জমুক্ত হবে। চুক্তির আওতায় বিদেশি পণ্যবাহী মোটরযানকে বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারে রুট পারমিট নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রবেশ পয়েন্টেই চার্জ আদায় করা হবে। প্রতিবার প্রবেশের আগে পণ্যবাহী যানকে এ চার্জ দিতে হবে। তবে দুই বা তিন দেশের মধ্যে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রীবাহী যানের কোনো রুট পারমিট চার্জ লাগবে না। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয়, নেপাল ও ভুটানের পণ্যবাহী মোটরযান যে পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে সে পথেই ফিরে যাবে। এ ছাড়া দেশ দুটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগও রয়েছে। তাই নেপাল-ভুটানের পণ্যবাহী মোটরযানের জন্য ১ হাজার টাকা রুট চার্জ আরোপ করা যেতে পারে। তবে বাংলাদেশের এক পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশ করে অন্য পয়েন্ট দিয়ে বেরিয়ে যাবে ভারতের মোটরযান। মূলত বাংলাদেশের সড়ককে দেশটি ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করবে। এ জন্য দেশটির পণ্যবাহী যানের রুট চার্জ হবে ২ হাজার টাকা। - আমাদের সময় ২০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ/আসিফ/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে