রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:০৬:৩৫

সমাধানে সুরঞ্জিত, এক সুরে মুহিত-তোফায়েল

সমাধানে সুরঞ্জিত, এক সুরে মুহিত-তোফায়েল

নিউজ ডেস্ক : নাছোড়বান্দা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  কোনো অবস্থাতেই ভ্যাট দিতে রাজি নয় তারা।  শিক্ষার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাই বলছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে সমাধান করার কথা বলেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
সংকট কেটে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ইস্যু সংকটে পরিণত হওয়ার আগেই তা সমাধানের উদ্যোগ নিন।
 
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
 
শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদকে উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত বলেন, আপনি যেসব হলিস্টিক কথা বলছেন, এটা ঠিক না।  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিলেন কেন? ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।  এর মধ্যে দু-একটি বাদে বাকিগুলোতে কী পড়ায় তা নিয়ে তো প্রশ্ন আছেই।  তারপরও টিউশন ফি’র ওপর অর্পিত ভ্যাট পুনঃবিবেচনা করা দরকার।  তবে এটিও দেখতে হবে, ছাত্ররা যেভাবে রাস্তায় নেমে গেছে এটিও ঠিক না।
 
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি নন প্রফিট বলে প্রফিট করে নেবেন, আর সরকারকে কিছু দেবেন না তা তো হয় না।
 
এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট নিয়ে সৃষ্ট সংকট শিগগিরই কেটে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
 
 আজ সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তারা এ আশ্বাস দেন।  অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট নিয়ে যে জটিলতা হয়েছে, সে বিষয়টির একটি সম্মানজনক সমাধানে পৌঁছানো যাবে।  একই সুরে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদও।  তিনি বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিগগিরই এর সমাধান হয়ে যাবে।
 
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পদত্যাগ দাবি করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট চাপিয়ে দেয়ার প্রতিক্রিয়া কতটা তীব্র হতে পারে- সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে সঠিক ধারণা দিতে পারেননি বরং ভুল ধারণা দিয়েছেন বলে মনে হয়।  মুহিত সাহেবকে পদে রেখে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব হবে বলে আমার মনে হয় না।  সুতরাং অার বিলম্ব নয়, মুহিত সাহেবকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে দ্রুত বিদায় করুন।
১৩ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে