নিউজ ডেস্ক : মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নব্য জেএমবির তামিম-সারোয়ার গ্রুপের ফয়সাল আহমেদ সানিল (১৯) নামে এক জঙ্গি হিজরতে যায়। ঘটনা আঁচ করতে পেরে তার মা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর তাকে গ্রেফতারে কাজ শুরু করে র্যাব।
কোনও নাশকতার আগেই সে ধরা পড়ে র্যাবের হাতে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে র্যাব। মিলছে তামিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের আলামতও।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাব ১০ এর একটি আভিযানিক দল দোহার থেকে মিজবাহ (১৯) ও তার ভাই মাহফুজ (১৬) কে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণের বই ও যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে। তার ছোটভাইয়ের কাছ থেকে একটি হাতে বানানো ছুরি উদ্ধার করে।
মিজবাহকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দোহারের নারিশা এলাকা থেকে নব্য জেএমবির আরেক সদস্য তাইবুর রহমান (১৮) কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে আরও কয়েকজনের তথ্য পায় র্যাব। পরবর্তীতে মিজবাহ, মাহফুজ ও তাইবুরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হিজরতে থাকা ফয়সাল আহমেদ সানিলকে দোহারের জজপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘ফয়সাল হিজরতে যাওয়ার সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বাড়িতে রেখে যায়। তার ওই ফোনে মিজবাহ ফোন দেয়। তখন তার মা ফোনটি রিসিভ করেন। তখন মিজবাহ দুয়েকটা কথা বলে রেখে দিতে চায়। কিন্তু, ফয়সালের মা মিজবাহকে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এরপর মিজবাহ ফেসবুকে ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করে থানায় জিডির বিষয়টি জানায়। এর প্রত্যুত্তরে কেন তার মোবাইল ফোন ফয়সাল ব্যবহার করেছে তা নিয়ে রাগ করে ফয়সাল। এরপর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ফয়সাল মিজবাহকে বলে, আমি আল্লাহর রাস্তায় আছি, মাকে বলবেন আমাকে যেন ক্ষমা করে দেয়।’
জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, গ্রেফতারকৃত ফয়সাল আহমেদ ২০১৫ সালে মাদ্রাসায় লেখাপড়া শেষ করে রানাকান্দা ইস্পাহানি কলেজে আবারও ভর্তি হয়। ২০১৬ সালের দিকে মিজবাহর কাছ থেকে সে উগ্রবাদের বিষয়ে দীক্ষা নেয়। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে সে চট্টগ্রামের মহসিনের কাছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়। গত ২৬ মার্চ সে হিজরতে যায়। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কেরাণীগঞ্জ থানায় গত ২৭ মার্চ তার মা জিডি করেন।’
২৯ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস