বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৩৭:১৫

পরিস্থিতি আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ : ইইউ ও জার্মান রাষ্ট্রদূত

পরিস্থিতি আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ : ইইউ ও জার্মান রাষ্ট্রদূত

ঢাকা : ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাতের পর জানিয়েছেন, দুই বিদেশী নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পর সরকার কূটনৈতিক জোন ও নির্দিষ্ট কিছু জেলায় বাড়তি পুলিশী নিরাপত্তা দেয়ায় তারা আগের চেয়ে নিরাপদবোধ করছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৃথকভাবে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তারা দু’জনই সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। অন্যদিকে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জুহান ফ্রিসেল বিদেশিদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তবে মুক্তমনা ব্লগার, বিদেশি এবং ধর্মীয় সাধক বা পীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুইডেন সরকার উদ্বিগ্ন বলেও জানান তিনি। পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন সাংবাদিকদের জানান, আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ইইউ যৌথ বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করতেই পররাষ্ট্র সচিবের দপ্তরে এসেছিলেন। ওই বৈঠকের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়েই আগাম আলাপ হয়েছে। বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে দু’জন বিদেশি হত্যা কিংবা নিরাপত্তার প্রসঙ্গটি আসেনি। তিনি বলেন, 'সার্বিকভাবে কূটনৈতিক পাড়াসহ সারাদেশে বিদেশিদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করছেন। গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখছেন। এ কারণে তারা নির্বিঘ্নে এবং স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছেন।' বৈঠক শেষে জার্মান রাষ্ট্রদূত টমাস প্রিনজ জানান, দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি এসেছিলেন। আলোচনার প্রসঙ্গ নিরাপত্তাজনিত বিষয় ছিল না। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি চলাফেরায় আগের চেয়ে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছেন। মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের 'কমিউনিটি বেজড ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন' প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সুইডেন রাষ্ট্রদূত জুহান ফ্রিসেল সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি ও কূটনৈতিক জোনে সরকারের নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক। এ জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সুইডেন রাষ্ট্রদূত বলেন, 'বাংলাদেশে মুক্তমনা ব্লগার, দুই বিদেশি এবং ধর্মীয় সাধক বা পীরদের নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাগুলো নিন্দনীয় এবং এতে সুইডেন সরকার উদ্বিগ্ন।' তিনি আশা করেন, বাংলাদেশ সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করবে। ২১ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে