বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:১০:৪৭

হঠাৎ চিন্তিত আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা

হঠাৎ চিন্তিত আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা

শামীম সিদ্দিকী : ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে ত্যাগী নেতারা চিন্তিত। কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব আসার কথা বলা হলেও কার্যত তা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ কাজ করছে নগর নেতা-কর্মীদের মাঝে। নগরীর কেন্দ্রীয় ও থানা-ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে সৎ-ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। অভিযোগ আছে, নগরীর শীর্ষস্থানীয় নেতারা দলের হাইকমান্ডের কাছে যাদেরকে কমিটিতে রাখার প্রস্তাব করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন নানা অপরাধে অপরাধী। কেউ সংগঠন বিরোধী কার্যাকলাপে জড়িত। আবার কেউ চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। টেন্ডারবাজির সাথেও আবার কেউ কেউ জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে যে কোন সময় কমিটি ঘোষণা হতে যাচ্ছে জেনে নেতা-কর্মীরা প্রতিদিন জড়ো হচ্ছে দলীয় কার্যালয়ে। দলীয় কার্যালয়ে আসা এসব নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে তাদের দাবি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর সুপারিশ-কিংবা প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে যেন নগর উত্তর-দক্ষিণের কমিটি দেওয়া না হয়। মাঠের কর্মীদের সাথে আলাপ করে এবং প্রস্তাবিত নেতাদের অতীত-বর্তমান অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে যেন কমিটি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনের একাধিক সূত্র জানায় আজিজ-মায়া-কামরুলদের পরামর্শে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হলে তাতে শুধু বিতর্র্কিতরাই বহাল হবে। ভালো নেতাদের ঠাঁই হবে না। বিতর্কিতদেরই জয়-জয়কার হবে। নগর আওযামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা জানান রাজধানীর প্রতিটি থানা ওয়ার্ডে অনেক ত্যাগী, সৎ ও নীতিবান কর্মী-নেতা আছে যারা দীর্ঘদিন রাজনীতি করছেন। বয়সেও অনেক প্রবীণ। তাদেরকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত। থানা-ওয়ার্ড কমিটির নেতারাই কর্মীদের সাথে সংযোগ বেশি। ওয়ার্কিং কমিটির নেতাদের চেয়ে তারাও কম দুরদর্শী নন। সংগঠক হিসাবে তারাও অনেক অভিজ্ঞ। কাজেই তাদেরকে মূল্যায়ন করা উচিত। ষাটের দশকের ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর হায়দার চৌধুরী এখনো থানা পর্যায়ের নেতাই রয়ে গেছেন। তার মতো অনেকেই নেতৃত্ব বঞ্চিত অবমুল্যায়িত। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নব্বই দশকের পরে আসা নেতারা সংগঠনের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে অবস্থান করছেন। হাইব্রিড এসব নেতাদের দাপটে আদর্শবাদী নেতারা কোনঠাসা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ষাটের দশকের ছাত্রনেতা বর্তমানে থানা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হায়দার চৌধুরীকে রাজধানীর শাহজাহানপুর নতুন থানার সভাপতি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তার অবস্থান আরও উপরে হওয়া উচিত ছিল বলে এলাকার একাধিক নেতা মন্তব্য করেন। একই থানার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কামরুজ্জামান বাবুলের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। দক্ষ সাংগঠনিক এই নেতা জাহাঙ্গীর হায়দার চৌধুরী ৬৮’ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। শাহজাহানপুর এলাকায় একজন দক্ষ সংগঠক হিসাবে তার সুনাম রয়েছে। এ নেতার মত রাজধানীতে অসংখ্য নেতা রয়েছেন যাদের মূল্যায়ন করা হবে এমন প্রত্যাশাই সংগঠনের আদর্শবাদী নেতাকর্মীদের। উল্লেখ্য গত ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর সম্মেলন হলেও এম এ আজিজ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দায়িত্ব পালন করছেন নগরীর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। দলের একাধিক নেতা জানান ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর গত পৌনে তিন বছরেও কমিটি গঠনের বিষয়ে এমএ আজিজ ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া একমত হতে পারেন নি। ত্যাগী নেতা-কর্মীরাও মূল্যায়ন হয়নি।-ইনকিলাব ২২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে