বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:২৪:০৫

একনামে কয়টি সিম রাখা যাবে, আসছে বিধিনিষেধ

একনামে কয়টি সিম রাখা যাবে, আসছে বিধিনিষেধ

শামীম আহমেদ : মোবাইল ফোন অপারেটরদের গ্রাহক বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন নিয়ে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলার অবসানে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ কয়টি সিম রাখতে পারবেন সেই সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যাতে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে একজন গ্রাহক তার এনআইডি দেখিয়ে এক অপারেটরের পাঁচটির বেশি সিমের মালিক হতে পারবেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসি সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, “সিমের মালিকানায় শৃঙ্খলা আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অন্যদিকে অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বলেন, “এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া উচিৎ। ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হলে বিস্ময়কর সব তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। সিমের তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে গিয়ে একটি ‘ভুয়া’জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম তোলার তথ্য জানা যায়। যাচাই প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম এক কোটি সিমের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধিত সিম পাওয়া যায় মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি। তথ্যভাণ্ডারে মিলিয়ে তিনটি এনআইডি নম্বর পাওয়া যায়, যেগুলোর বিপরীতে ১১ হাজার ৮৬৬টি, ১১ হাজার ৩২৮টি ও ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন হয়েছে। বিশৃঙ্খলার এই বিস্তৃতি অনুধাবন করার পর সিম সংখ্যার সীমা বেঁধে দিতে বিটি্আরসিকে একটি চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ওই চিঠিতে বলা হয়, এক এনআইডির বিপরীতে এক অপারেটরের সর্বোচ্চ সাতটি এবং সব মিলিয়ে ২৪টির বেশি সিম না রাখার নিয়ম করা যেতে পারে। বিটিআরসিকে এর যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখতে বলা হয়। বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিটিআরসি যে জবাব দিয়েছে, তাতেই এক গ্রাহকের সর্বোচ্চ ২০টি সিম এবং এক অপারেটররের সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম রাখার সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসি’র সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, মানুষের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে দেশের জনসংখ্যাই ১৬ কোটি। নিবন্ধনে শৃঙ্খলা আনতে ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চূড়ান্তভাবে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। এছাড়া গ্রাহকরা আগামী বছরের শুরুতেই মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলানোর সুযোগ (এমএনপি) পেতে যাচ্ছেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।-বিডিনিউজ ২৪.কম। ২২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে