বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৪৫:৩৯

ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করাও অপরাধ

ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করাও অপরাধ

নিউজ ডেস্ক : প্রশ্ন ফাঁসকারীদের সাথে ওই প্রশ্ন সংগ্রহ করাকেও অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। পাবলিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে সরকার নতুন যে আইন আনছে, তাতে এ প্রস্তাব রয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে জনমত সংগ্রহে গত রাতে তা অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে। তবে নতুন এ আইনে প্রশ্ন ফাঁসের শাস্তি না বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। বর্তমান আইনে চার বছরের জেল এবং জরিমানার যে বিধান রয়েছে, নতুন আইনেও সেটাই বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন, তারা একে প্রহসন হিসেবে বর্ণনা করছেন। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয় একটা ব্যাধির মতো হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। তাতে করে এ শাস্তি একেবারে লঘু হয়ে গেছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, সে ব্যাপারে পুরনো আইনে স্পষ্ট সংজ্ঞা দেয়া নেই। এখন প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করলে অথবা এই তৎপরতায় জড়িত থাকলে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। একইসঙ্গে কেউ প্রশ্ন সংগ্রহ করে অপরাধে সহায়তা করলে তাকেও অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, খসড়া প্রস্তাবে অপরাধীর সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। তবে সমালোচনা উঠেছে শাস্তির মেয়াদ নিয়ে। পুরনো আইনে চার বছরের জেল এবং জরিমানার বিধান আছে। এখনো সর্ব্বোচ্চ চার বছরের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় আগ্রহী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করে আসছে প্রতারক চক্র। প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম একজন সংগঠক রাশেদা কে চৌধুরীর ধারণা, এখনকার প্রেক্ষাপটে লঘু শাস্তি একটা প্রহসনে পরিণত হতে পারে। তার মতে, বর্তমানে যে পরিবেশ বা পরিস্থিতি, সেখানে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয় একটা ব্যাধির মতো হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। তাতে করে এ শাস্তি একেবারে লঘু হয়ে গেছে। সম্প্রতি মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে একদল শিক্ষার্থীর লাগাতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এ ইস্যূ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনকারী একজন শিক্ষার্থী সুমন হোসেন বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে শাস্তি আরো কঠোর হওয়া উচিত বলে তারাও মনে করেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ৮০ সালের আইনে দশ বছরের সাজা ছিল। বিএনপি সরকারের সময়ে সেই সাজা কমিয়ে চার বছর করা হয়। এখন খসড়া প্রস্তাব নিয়ে শাস্তি বাড়ানোর ব্যাপারে জনগণের মতামত এলে তা তারা বিবেচনায় নেবেন। তবে এ অপরাধের ক্ষেত্রেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিচার করার প্রস্তাব আনার কথাও শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। তবে রাশেদা কে চৌধুরী মনে করেন, শুধু আইন দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যার মূলে পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি তিনি মানুষের সচেতনতা সৃষ্টির ওপরও গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আইন তৈরির পাশাপাশি মানষের সচেতনতা তৈরি করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ তারা নিচ্ছেন। সূত্র : বিবিসি ২২ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে