'রেড অ্যালার্ট রাজনীতি এবং ভুল'
নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে ইতালীয় নাগরিক সিজার তাভেল্লা এবং রংপুরের আলু টিলায় জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচনায় এনেছে ‘রেড এলার্ট’ শব্দটি। এই দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার পর দূতাবাসগুলোর একের পর এক সতর্কতা জারি আর সরকারের তরফ থেকে নানা প্রতিক্রিয়ায় মুখর রাজনৈতিক অঙ্গন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সদরকলা গ্রামে দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
দুই বিদেশি খুনের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এমন কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যাতে নিরাপত্তার অবনতি হয়েছে বলা যায়। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, নিউইয়র্কে কত হাজার লোক মারা যায়, এর মধ্য কতজন বাঙালি থাকে, কে হিসাব করে?
অর্থমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিবেশই হয়নি। আমেরিকায় প্রতিবছর অনেক বেশি মানুষ মারা যায়। তাদের মধ্যে অনেক বাঙালিও থাকে। যখন আমেরিকায় বাঙালি হত্যার ঘটনা ঘটে তখন তারা কোথায় থাকে?
দুই বিদেশির হত্যার কারণে পোশাক খাতে বিদেশিরা বিমুখ হচ্ছে কি না, সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা ট্যাম্পরারি ডিফিকাল্টি। এটা হতে পারে না। বিষয়টাকে ইস্যু করা হচ্ছে। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি হয়নি যে তার প্রভাব গার্মেন্টস সেক্টর বা অর্থনীতিতে পড়বে।
অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে আইএমএফের শর্ত নিয়ে সাংবাদিকদের অপর একটি প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে আইএমএফ শর্ত দিতেই পারে। তবে আমাদের শর্তও তাদের মানতে হবে। আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য প্রায় ২৬ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়ের সঙ্গে যে সংস্কার কর্মসূচি চালিয়ে যেতে সুপারিশ করেছে, তা বাংলাদেশ পূরণ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাত বা অর্থনীতিতে এর কোনো প্রভাবও পড়বে না। এর চেয়ে আমেরিকায় আরো অনেক বেশি বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা ঘটে থাকে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিনাখরচে জ্ঞানী হওয়ার শ্রেষ্ঠ জায়গা হলো গণগ্রন্থাগার। তাই বেশি বেশি গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা দরকার। ইতিহাস ও জ্ঞানের ভাণ্ডার হচ্ছে বই। একটি গ্রন্থাগার শুধু এলাকা বা দেশের নয়, পৃথিবীর সম্পদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখন মিয়া। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন, মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ ও গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদিন, সাবেক সাংসদ ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, গণগ্রন্থাগার ট্রাস্টির সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
২৩ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে